ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া পরিদর্শনে ডিএসসিএসসি প্রশিক্ষণার্থীরা

ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া পরিদর্শনে ডিএসসিএসসি প্রশিক্ষণার্থীরা

অনলাইন ডেস্ক

ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের (ইডব্লিউএমজিএল) প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন ‘ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি)'র প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীরা।  

প্রতিষ্ঠানটির কোর্স ২০১৯-২০’-এর অংশ হিসেবে প্রায় ২শ’ ৭০ জন প্রতিনিধি দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করেন।

বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি দলটি ইস্ট-ওয়েস্ট কার্যালয়ে এসে পৌঁছায়। এ সময় সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রতিনিধিদের স্বাগত জানান বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক ও নিউজ টোয়েন্টিফোরের সিইও নঈম নিজাম।

তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডেইলি সান সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের সম্পাদক জুয়েল মাজহার, কালের কণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তফা কামাল, রেডিও ক্যাপিটালের নির্বাহী পরিচালক হাসনাইন খুরশিদ, নিউজ টোয়েন্টিফোরের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স প্রধান সামিয়া রহমান ও হেড অব নিউজ রাহুল রাহা।

আলোচনা সভায় নঈম নিজাম ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের বিভিন্ন বিষয় অতিথিদের সামনে তুলে ধরেন। কথা বলেন দেশের সমসাময়িক গণমাধ্যম পরিস্থিতি নিয়েও।

তিনি বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ মিডিয়া গ্রুপের নাম ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ।

আমাদের প্রতিষ্ঠান দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন সার্কুলেশনে দেশে প্রথম ও দৈনিক কালের কণ্ঠ তৃতীয়। এছাড়াও, আমাদের সংবাদভিত্তিক চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টিফোর, ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সান ও রেডিওস্টেশন রেডিও ক্যাপিটাল রয়েছে। অনলাইনভিত্তিক বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর দেশের আরেকটি শীর্ষস্থানীয় নিউজ পোর্টাল।  

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই যুগে যখন কোনো মিথ্যা তথ্য বা গুজব মুহূর্তেই ছড়িয়ে যায়, সেখানে মানুষেরা আমাদের মতো মেইনস্ট্রিম মিডিয়াগুলোতে আস্থা রাখেন। তথ্যের জন্য আমাদের প্ল্যাটফর্মগুলোতে আসেন। সেই জায়গা থেকে আমরা সবশেষ সঠিক তথ্য দ্রুততার সঙ্গে উপস্থাপনের কাজ করি।    

এ সময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম কামরুল হাসান বলেন, গণমাধ্যম গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতন্ত্র ব্যবস্থাকে সফল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সংবাদ মাধ্যমগুলো। সেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছে ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ। সব সময় ‘নিউজ এথিকস’ মেনে সংবাদ পরিবেশন করাই এই সফলতার কারণ বলে আমার বিশ্বাস। আমাদের উভয়পক্ষের মধ্যকার এই সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও আন্তরিক ও সুদৃঢ় হবে।

জাতিসংঘ শান্তি মিশনসহ সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত সংবাদ পরিবেশন করায় ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

এবারের পরিদর্শনে ৩৭ জন প্রশিক্ষক ও ১৫৮ জন প্রশিক্ষণার্থী রয়েছেন। প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা ছাড়াও ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, সৌদি আরব, সিয়েরা লিওন, শ্রীলংকা, সুদান, তানজানিয়া, তুরস্ক, উগান্ডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাম্বিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তারা রয়েছেন।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল