আবরার হত্যা: অভিযোগপত্র শিগগির

আবরার হত্যা: অভিযোগপত্র শিগগির

অনলাইন ডেস্ক

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এ জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়।

ঘটনা তদন্তে আসামিদের দফায় দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্তকারী সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।  
এখন চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করার পালা।

সবশেষ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এএসএম নাজমুস সাদাত ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারী তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

এরপর সাদাতকে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনিসহ নির্মম এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে মোট আটজন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

তাদের সবাই এজাহারভুক্ত আসামি।

গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের কিছু বেপরোয়া নেতাকর্মীর হাতে নির্দয় পিটুনির শিকার হয়ে মারা যান বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ। এই ঘটনায় পরদিন নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত করছেন ডিবির লালবাগ জোনের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।   

এই মামলায় এজাহারভুক্ত মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তারা সবাই বুয়েটের শিক্ষার্থী, যার মধ্যে ১৬ জনই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে মিজানুর রহমান মিজান ছাড়া বাকি সবাইকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অসুস্থ থাকায় মিজানকে গ্রেপ্তারের পরই কারাগারে পাঠানো হয়।

এই মামলায় গত ৮ অক্টোবর প্রথম দফায় ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে পাঁচদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।

তারা হলেন- বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ, সদস্য মুনতাসির আল জেমি, মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ এবং খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির ও ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)