ভবিষ্যতে কোনো নারী এমন ঘটনার শিকার হবে না

ভবিষ্যতে কোনো নারী এমন ঘটনার শিকার হবে না

অনলাইন ডেস্ক

নুসরাত হত্যা মামলার এ রায় বাংলাদেশের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে উল্লেখ করে বাদীপক্ষের আইনজীবী শাজাহান সাজু বলেছেন, আদালত বলেছেন বাংলাদেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো মেয়ে আর এ ধরনের হত্যার শিকার হবে না। ভবিষ্যতে আর কোনো নারী এ ধরনের ঘটনার শিকার হবে না। সব আসামিকে আইনের ১ ও ৩০ ধারা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে নুসরাত হত্যার রায় ঘোষণার পর তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান।

এর আগে নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়ে নুসরাতের বাবা এ কে এম মুসা
বলেন, মামলার সব আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী, প্রশাসন, গণমাধ্যমসহ দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা রায়ে সুবিচার পেয়েছি। যত ক্ষমতাশালী হোক না কেন এমন রায় থেকে মানুষ শিক্ষা নেবে যাতে আর কোনো মায়ের বুক খালি না হয়।

তিনি আরও বলেন, মামলার সব আসামির ফাঁসির আদেশ দেওয়ায় নুসরাতের আত্মা শান্তি পাবে।

পাশাপাশি নিজের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন নুসরাতের বাবা।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তার মায়ের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে।

পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গেলে নুসরাতকে কৌশলে মাদরাসার প্রশাসনিক ভবন কাম সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ৮ এপ্রিল নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান আটজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো চারজনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মাদরাসা অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এরপর মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। আসামি করা হয় মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজকে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর