মুক্তিযোদ্ধার শেষ চিঠি, প্রত্যাখ্যান করলেন রাষ্টীয় দাফন

নিজস্ব প্রতিবেদক

একজন মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রের শ্রেষ্ট সন্তান হিসেবে গন্য হন। এই মুক্তিযোদ্ধাদের  হাত ধরেই এসেছে আমাদের স্বাধীনতা। যতভাবেই তাদের প্রতিদান দেওয়া হউক না কেন তবুও তাদের ঋণ শোধ হবার নয়। সেই  মুক্তিযোদ্ধার প্রতি রাষ্টীয় শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের শেষ সুযোগটুকু হলো রাষ্ট্রূয় দাফন কার্ক্রম।

অথচ সেই রাষ্ট্রীয় দাফন না করানোর জন্য মৃত্যুর আগে চিঠি লিখে অনুরোধ করে গেছেন দিনাজপেুরের এক মুক্তিযোদ্ধা।

ছেলেকে চাকরিচ্যুতবাস্তুচ্যুত করার অভিযোগ এনে মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নিজের দাফন চাননি দিনাজপুরের মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন। মৃত্যুরদিন আগে মুক্তিযোদ্ধার লিখে যাওয়া এমন চিঠির প্রেক্ষিতে শেষ ইচ্ছানুযায়ী প্রশাসনের স্যালুটবিউগলের করুণ সুর ছাড়াই তাকে দাফন করা হয়। এই ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছে পরিবার, মুক্তিযোদ্ধাজনপ্রতিনিধিরা।

 এছাড়া বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার।  

দিনাজপুরের আউলিয়াপুর ইউনিয়নের যোগীবাড়ী গ্রামের মরহুম মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বরাবর লিখে যাওয়া সেই চিঠির মূল বক্তব্য ছিলো রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে যেন দাফন করা না হয়।

চিঠিতে লিখে যাওয়া বক্তব্যেমুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের ছেলে এসিল্যান্ডের গাড়ি চালক ছিলেন। সেই সুবাধে সরকারি পরিত্যক্ত বাড়িতে বাস করতেন তারা। হঠাৎ করেই নুর ইসলামকে চাকরি থেকে বাদ দেয়া হয়। করা হয় বাস্তুচ্যুত।  পরিবার জানায় এরই ক্ষোভ থেকেই লিখে যান শেষ চিঠি।

নুর নেহা, মৃত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী জানান তার ছেলের সাথে অন্যায় কারা হয়েছে।

মৃত্যুর পর একজন মুক্তিযোদ্ধার রাষ্ট্রের শেষ শ্রদ্ধা গ্রহণ না করাটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না অন্য মুক্তিযোদ্ধাউপজেলা চেয়ারম্যান।

 উপজেলা চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার জানান প্রয়োজনে প্রাশাসনিক তদন্ত করা হউক।

জেলা প্রশাসক জানানতদন্ত কমিটি গঠনের কথা।  দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।

আর কোন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের যেন রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়া দাফন করা না হয়, সেই দাবি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের।