প্রতিবেশির মেয়েকে ডেকে নিয়ে যায় স্ত্রী। পরে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে স্বামী। ধর্ষণের শিকার হয়ে ওই কিশোরী এখন অন্তঃসত্ত্বা।
বিকৃত মানসিকতার এমন ঘৃণিত ঘটনা ঘটেছে ধামরাইয়ে।
এদিকে এ ঘটনায় বিচারের নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় ইউপি মেম্বারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ধর্ষক মোকছেদ আলীর স্ত্রী উজালা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে ধামরাই পুলিশ।
আর কিশোরীকে শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- ঢাকার ধামরাই উপজেলার আমতা ইউনিয়নের মৃত সাধু বেপারীর ছেলে মো. মোকসেদ আলী, স্ত্রী উজালা বেগম, আমতা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) মো. ফারুক হোসেন, আল আমিন, দরবার আলী, চান মিয়া ও সাংবাদিক পরিচয়দানকারী জসিম।
পুলিশ জানায়, গত ৩০ জুলাই ধামরাইয়ের আমতা ইউনিয়নের মুন্সীপাড়া গ্রামে কৌশলে প্রতিবেশী কিশোরীকে ডেকে নিয়ে যায় উজালা বেগম। পরে তার সহায়তায় কিশোরীকে ধর্ষণ করে স্বামী মোকছেদ আলী। এ ঘটনায় কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গত ২১ অক্টোবর বিষয়টি তার পরিবারের কাছে খুলে বলে ভুক্তভোগী।
এদিকে, জানতে পেরে ঘটনা ধাপাচাপা দিতে স্থানীয় মেম্বার ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন বিচারের নামে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করে টাকা নিয়ে ঘটনা চুপ থাকার হুমকি দেয় ভুক্তভোগী পরিবারকে।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, বিকৃত মানসিকতা থেকে এমন ঘৃণিত কাজে লিপ্ত হয়েছে এই দম্পতি। ভুক্তভোগী পরিবার আজ থানায় মামলা দায়ের করেছে।
‘শনিবার সকালে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ধামরাই থানায় ধর্ষক মোকছেদ আলী, তার স্ত্রী উজলা বেগম এবং স্থানীয় ইউপি মেম্বার ফারুকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ’
কিশোরীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত উজালা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
