স্ত্রী হত্যার অপরাধে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বড় শৌলা গ্রামের মো. আবুল কালামকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন পিরোজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবুল কালাম যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী জেসমিন বেগমকে চাপ দেয় এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। ঘটনার দিন ২০১৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তিনি স্ত্রী জেসমিন বেগমকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন।
জেসমিনকে প্রাথমিকভাবে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।পরদিন খুলনায় নেওয়া হলে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে ভাঙ্গা নামক স্থানে ১৪ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু ঘটে।
পরদিন নিহত জেসমিন বেগমের ভাই সাইফুল হক মঠবাড়িয়া থানায় মো. আবুল কালামকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১১(ক) ধারায় মামলা দায়ের করেন।
মঠবাড়িয়া থানার এসআই মো. আব্দুল হক এ মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ৪ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলাটি বিচারের জন্য পিরোজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমানের আদালতে এলে তিনি সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামি আবুল কালামকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক খান বাদশা। আসামির পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী নুরুল ইসলাম বাদশা।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)