সন্ত্রাসীদের ছোড়া গ্রেনেটটি নিষ্ক্রিয় করা হলো

সন্ত্রাসীদের ছোড়া গ্রেনেটটি নিষ্ক্রিয় করা হলো

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটির সুবলং বাজারে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ছোড়া অবিস্ফোরিত গ্রেনেটটি উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়নের বাজার থেকে বোমা বিশেষজ্ঞ একটি বিশেষ দল গ্রেনেটটি নিরাপদে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলায় সুবলং বাজারে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হঠাৎ গ্রেনেড হামলা চালায়।

তবে ভাগ্যক্রমে গ্রেনেটটি বিস্ফোরণ না হওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

তবে এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে গ্রেনেটটি ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করে নিরাপত্তাবাহীনি।

সারারাত পাহাড়া থাকার পর সকালে বোমা বিশেষজ্ঞ একটি বিশেষ দল এসে গ্রেনেটটি নিরাপদে নিষ্ক্রিয় করে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে।

রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ছুফি উল্লাহ জানান, সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নিক্ষেপ করা অবিস্ফোরিত গ্রেনেটি উদ্ধার
করে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। বর্তামনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যেকোনো নাশকতার ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত
যৌথবাহিনী নিয়োজিত রয়েছে।

অন্যদিকে, রাঙামাটি সুবলং বাজারে গ্রেনেট হামলার ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ। শনিবার দেড়টার দিকে গণমাধ্যমকে দেওয়া পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ দপ্তর সম্পাদক মিলন কুসুম তঞ্চঙ্গ্যা এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ দপ্তর সম্পাদক মিলন কুসুম তঞ্চঙ্গ্যা বিবৃতিতে বলেন, গত শুক্রবার রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলায় সুবলং বাজারে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদকে জড়িত করে গণমাধ্যমে সংবাদ
প্রচার হয়েছে। তাই পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে আর বলা হয়, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদকে জড়িয়ে প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের এধরনের কোনো সশস্ত্র গ্রুপও নেই এবং এ ধরনের সশস্ত্র তৎপরতার সাথেও জড়িত নয়।

পাহাড়ি ছাত্র পরিষ পার্বত্য চট্রগ্রামে জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে চালিয়ে যাবে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করার জন্য এবং পার্বত্য
চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার হীন উদ্দেশ্যে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)