নাটোরের বড়াইগ্রামে হালিমা খাতুন (১২) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ রোববার রাত ১১ টার দিকে উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের সাতঔল বিলের ভেতর ব্রিজের পাশ থেকে হালিমার মরদেহ উদ্ধার করে। হালিমা খাতুন ওই ইউনিয়নের গারফা গ্রামের হাসেন আলীর মেয়ে ও গারফা দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী।
এদিকে নিহতের পরিবারের দেওয়া তথ্য মতে পুলিশ হালিমার কথিত প্রেমিক একই গ্রামের মুসা প্রামাণিকের ছেলে
লাদেন আলীকে খুঁজছে।
এলাকাবাসীরা জানায়, রাত ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয় হালিমা। এরপর রাত ১১টার দিকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় গাছের ডালে হালিমার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় তারা।
হালিমা খাতুনের বাবা হাসেন আলী অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবেশি লাদেন আলীর ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে আমার মেয়ে লাশ হলো।
হালিমাকে ধর্ষণের পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পরে মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে দেয় ওই লাদেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু পুলিশি তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ কুমার দাস জানান, মেয়েটির যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্ত বের হওয়ার আলামত পাওয়া গেছে। তবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা তা তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।
কথিত প্রেমিক লাদেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসল তথ্য বের করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)