খোকার জানাজা সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়, শ্রদ্ধা জানাবেন মুক্তিযোদ্ধারা

খোকার জানাজা সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়, শ্রদ্ধা জানাবেন মুক্তিযোদ্ধারা

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে

বিএনপি নেতা, ঢাকার সাবেক মেয়র মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার নামাজে জানাজার প্রাক্কালে তার কফিন জাতীয় পতাকায় আচ্ছাদিত করে অভিবাদন জানাবেন প্রবাসের মুক্তিযোদ্ধারা। ৪ নভেম্বর সোমবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে

সাতটায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকা মসজিদে তার জানাজা হবে।

এরপরই খোকার মরদেহ পাঠানো হবে বাংলাদেশে।

এয়ারলাইন্সে মরদেহ পরিবহনের যাবতীয় অনুমতির নিশ্চয়তা দিয়েছেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা।

তিনি এ সংবাদদাতাকে জানান, হাসপাতাল থেকে সাবেক মেয়র খোকার বড় ছেলে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন আমাকে টেক্সট পাঠিয়েছেন তার বাবার মরদেহ বাংলাদেশে নেওয়ার অনুমতির জন্যে। আমি ট্র্যাভেল ডক্যুমেন্ট দেব বলে তাকে জানিয়েছি। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী হাসপাতাল থেকে মরদেহ ফিউনারেল হোমে নেওয়ার পর এটি করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা মিল্টন ভূইয়া জানান, হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা শেষে খোকার মরদেহ নেওয়া হয়েছে ব্রুকলীনে মুসলিম ফিউনারেল হোমে।

সেখানে রয়েছেন তার স্বজনেরা। এশা নামাজের পরই তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে।

কন্সাল জেনারেল আরো জানান,, খোকার জানাজায় কন্স্যুলেটের ফার্স্ট সেক্রেটারি শামীম হোসেন বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

যুুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ জানান, আমরা সহযোদ্ধাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাব জানাজার প্রাক্কালে।

এজন্যে সকলে যেন সাড়ে ছয়টার মধ্যে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে জড়ো হন।

এদিকে, মুক্তিযোদ্ধা-রাজনীতিক খোকার ব্যক্তিগত সহকারি সিদ্দিকুর রহমান মান্না এ সংবাদদাতাকে জানান, জানাজার পর লাশবাহী কফিন পাঠানো হবে ঢাকায়। সাথে যাবেন পরিবারের সকল সদস্য। খোকার স্ত্রীর ট্র্যাভেল ডক্যুমেন্টও প্রদান করা হচ্ছে কন্স্যুলেট থেকে।

৪ নভেম্বর স্থানীয় সময় সোমবার ভোররাত ২টা ৫০ মিনিটে ( বাংলাদেশ সময় সোমবার বেলা ১২টা ৫০ মিনিট) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এ সময় হাসপাতালে ছিলেন তার স্ত্রী, দুই পুত্র, কন্যা, জামাতাসহ স্বজনেরা।

উল্লেখ্য, ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্যে ২০১৪ সালের মে মাসে সস্ত্রীক নিউইয়র্কে এসেছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা। সেই থেকে নিউইয়র্কে বিশ্বখ্যাত মানহাটানের মেমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল। এমনি অবস্থায় গতমাসের শেষার্ধে খোকার মুখে ঘা হলে খাবার গ্রহণ করতে সমস্যা হচ্ছিল। সেজন্যে তাকে হাসপাতালে ভর্তির পর ২৭ অক্টোবর তাঁর শ্বাসনালীতে অস্ত্রোপচার করে টিউমার অপসারণ করা হয়। এরপরই শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। চিকিৎসকরাও হাল ছেড়ে দেন।

৫ দিন যাবত তাকে কৃত্রিম পদ্ধতিতে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। ভোর রাতে খোকার মৃত্যু সংবাদ জানার পর অনেকেই হাসপাতালে যান। খোকার শোক-সন্তপ্ত পরিবারকে সহমর্মিতা জানাতে।

শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ সম্রাট. অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, গিয়াস আহমেদ, আকতার হোসেন বাদল, আলহাজ্ব মাহফুজুল মাওলা নান্নু, বাবরউদ্দিন, এম এ বাতিন, আলহাজ্ব আবু তাহের, পারভেজ সাজ্জাদ, মাওলানা অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, জসীমউদ্দিন, মোয়াজ্জেম হোসেন, যুবদল সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী এবং সেক্রেটারি আবু সাঈদ আহমেদ, ছাত্রদলের নেতা
মাজহারুল ইসলাম জনি প্রমুখ।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)