বিতর্কিত জমি পাবে হিন্দুরা, নতুন জায়গা মুসলিমদের

অনলাইন ডেস্ক

মুসলমানদের জন্য নতুন একটি মসজিদ নির্মাণে আলাদা জমি বরাদ্দ এবং শর্তসাপেক্ষে বিতর্কিত জমি পাবে হিন্দুরা। বাবরি মসজিদ নিয়ে এমন রায় দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

মামলার রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি এসএ বোবদে, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ এবং এস আব্দুল নাজির।

রায়ে বলা হয়, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড বিবাদমান ওই জমির অধিকার দাবি করতে পারে না। ওই জমিতে মন্দির নির্মাণ হবে এবং ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানে এ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন হবে।

আর বিকল্প মসজিদ নির্মাণে বিকল্প জমি পাবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। এজন্য তাদের অন্যত্র ৫ একর জমি দেওয়া হবে।

রায়ে আরও বলা হয়- মসজিদের নীচে কাঠামো ছিল। ফাঁকা জায়গায় তৈরি হয়নি বাবরি মসজিদ। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার ওই জায়গা খনন করে। সেখানে যে সব জিনিসপত্র পাওয়া গেছে তাতে স্পষ্ট সেগুলি নন ইসলামিক (মুসলিমদের নয়)। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন এখানেই রামের জন্মভূমি ছিল। আর কারও বিশ্বাস যেন অন্যের অধিকার না হরণ করে।

উল্লেখ্য, এই আইনি লড়াইয়ের সূত্রপাত ১৯৫০ সালে। রামলালার ভক্ত গোপাল সিংহ বিশারদ বাবরি মসজিদকেই রামের জন্মভূমি দাবি করে সেখানে পূজার অধিকার চেয়ে দ্বারস্থ হন আদালতের। তার আগেই বাবরি মসজিদে রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পরমহংস রামচন্দ্র দাস সেখানেই পূজার দাবি করে মামলা করেন। ১৯৬১ সালে উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড জমির অধিকার চেয়ে আদালতে যায়।

ইলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি দেবকীনন্দন আগরওয়ালের প্রধান দাবি, দেবতার চরিত্র পেয়েছে রামের জন্মভূমিই। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে ১৯৯২ সালে ৬ ডিসেম্বর সব মামলাই ইলাহাবাদ হাইকোর্টে চলে আসে। ২০১০ সালে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দেয়- নির্মোহী আখাড়া, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, রামলালার মধ্যে জমি সমান ভাগে করে দেওয়া হোক। যার ফলস্বরূপ হিন্দুরা পায় তিন ভাগের দুভাগ জমি আর মুসলিমরা এক ভাগ।

এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে সব পক্ষ। রামলালা বিরাজমানের আইনজীবীরা দাবি করেন, রামের জন্মভূমি দেবতা-স্বরূপ। তার ভাগ হয় না কখনো।

সূত্র: আনন্দবাজার, এনডিটিভি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/দীপা/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর