আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে চাঁদপুরের মানুষ

ছবি- সংগৃহীত

আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে চাঁদপুরের মানুষ

অনলাইন ডেস্ক

ধ্বংসাত্মক রূপ নেওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর প্রভাবে চাঁদপুরের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে মানুষ। জেলার ৩১১ আশ্রয়কেন্দ্র এজন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঝড় মোকাবেলায় চাঁদপুর সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান জানান, ইতোমধ্যেই জেলার সরকারি সকল কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং বলগেট, ড্রেজার ইত্যাদি ছোট নৌযানকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে। জনসাধারণকে সতর্ক করতে বিভিন্ন চরাঞ্চলে মাইকিং করা হচ্ছে।

চাঁদপুরে ১১৭টি মেডিকেল টিম, স্থানীয় স্কাউট, রেডক্রিসেন্ট, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।  

এছাড়া চাঁদপুর জেলার ৩১১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি ১১৩০জন স্বেচ্ছাসেবক, ৭৫০জন গ্রাম পুলিশকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

চাঁদপুর জেলার জন্য নগদ ৫ লাখ টাকা ও ১০০ মে. টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বুলবুল বাংলাদেশ উপকূলের কাছাকাছি খুলনা জেলা ও সুন্দরবনের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে চলে এসেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তার।

আবহাওয়া বিভাগ জানাচ্ছে, এটি আজ শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের খুলনা জেলার দক্ষিণাংশের সুন্দরবনে ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে এর আগে থেকেই প্রচণ্ড ঝড়, ভারী বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানছে। এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। উপকূলের আটটি জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা ও চাঁদপুর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাংলাদেশের মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)