‌‘রাত ৮টায় আছড়ে পরবে বুলবুল’

‌‘রাত ৮টায় আছড়ে পরবে বুলবুল’

অনলাইন ডেস্ক

ধ্বংসাত্মক রূপ নিয়ে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে প্রবল গতিতে এগোচ্ছে বঙ্গোপসাগড়ে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। বর্তমানে এটি বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে আসছে। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, আজ শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ বুলবুল পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা উপকূল দিয়ে সমতলে আঘাত হানবে। এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার।

 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানও এমন কথাই জানিয়েছেন। বলেছেন, শনিবার রাত আটটা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে

জানা গেছে, প্রথমে পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরের ওপর দিয়ে স্থলভাগে উঠে আসবে হারিকেন ক্যাটাগরি-২ মানের ঘূর্ণিঝড় হিসেবে। স্থলভাগে প্রবেশের সময় এর গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার।

এদিকে ‘বুলবুল’র প্রভাবে উপকুলের ৫০০কি.মি. বাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে জানা গেছে।

আমাদের প্রতিনিধি জানায়, বুলবুলের প্রভাবে শনিবার সকাল থেকে খুলনাজুড়ে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করেছে। মাঝে মধ্যেই দমকা হাওয়াসহ মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

বেলা ১১টার পর থেকে বাতাসের গতিবেগ কিছুটা বেড়েছে।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের প্রধান কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র প্রভাবে শনিবার সকাল ছয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুলনায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগে সকাল ছয়টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিপাত হয়েছে ২০ মিলিমিটার। বর্তমানে দমকা হাওয়ায় বাতাসের গতিবেগ সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটার। যা দুপুরের পর থেকে বাড়তে পারে।

দিনভর বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি শূণ্যের কোঠায়। শহরের অধিকাংশ দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। রাস্তাঘাট প্রায় জনমানবশূণ্য হয়ে পড়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছে না।

এদিকে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় প্রায় ৫০০কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। বুলবুলের প্রভাবে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

এরই মধ্যে খুলনার দাকোপ, কয়রাসহ উপকূলীয় এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দ্দার বলেন, উপকূলবর্তী এলাকায় সকাল থেকেই ১০ নম্বর সতর্ক সংকেট জানিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি ৩৩৮টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত করা হয়েছে। দাকোপ ও কয়রা উপজেলায় ২৪ হাজার ৬০ সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)