ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পরিণত হয়েছে গভীর স্থল নিম্নচাপে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটির অবস্থান ক্রমান্বয়ে উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে তাণ্ডব চালানোর পর দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এখন বাংলাদেশের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা অঞ্চলে অতিক্রম করছে। আজ রোববার সন্ধ্যা নাগাদ বুলবুলের প্রভাবমুক্ত হবে বাংলাদেশ, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ প্রবেশের মুখে একপাশে ছিল পশ্চিমবঙ্গ, আর সুন্দরবন ছিল তিন পাশে। বাংলাদেশের দিকে যত এগিয়ে আসছে ততই শক্তি হারাচ্ছে বুলবুল। আর প্রতিবারের মত এবারও ঘূর্ণিঝড়ের ধ্বংসযজ্ঞে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সুন্দরবন।
যেহেতু ঘূর্ণিঝড় উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, সুন্দরবনের কারণে তার অবস্থানের পরিবর্তন কমে এসেছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের উপপরিচালক আয়েশা খানম জানান, ‘বুলবুল উপকূল অতিক্রম করছে। তত লোকালয়ে যত আসবে ততই দুর্বল হয়ে যাবে। সুন্দরবনের কারণেই দুর্বল হয়ে যাবে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল যে গতিতে আসার কথা ছিল, সেই গতিতে আসেনি। ঘূর্ণিঝড়টি জলভাগের ওপর তেমন শক্তি প্রয়োগ করতে পারেনি।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আঘাতের সময় এটি গাছ, স্থাপনাসহ বিভিন্ন কিছুর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, বাধা প্রাপ্ত হয়। এ কারণে গতি আস্তে আস্তে কমে যায়।
এদিকে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা, ঢাকা, সিলেট ও ময়মনসিংহ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিসহ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল