সুমির কাছে ৫ লাখ টাকার দাবি নাকচ

সুমির কাছে ৫ লাখ টাকার দাবি নাকচ

মোহাম্মদ আল-আমীন, সৌদি আরব প্রতিনিধি

নির্যাতিতা গৃহকর্মী সুমির কাছে নিয়োগ কর্তার ৫ লাখ টাকার দাবি নাকচ করে দিয়েছে সৌদি আদালত। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সহায়তায় সুমিকে দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট।

বাংলাদেশি নারী সুমির বাঁচার আকুতির ভিডিও ভাইরাল হয়। সুমি বলছেন, আমি মনে হয় আর বাঁচব না, আমি মনে হয় মরেই যাব।

আমি এখানে খুবই কষ্টে আছি। আমি চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছি না। আমি জানি না এখান থেকে কী করে রক্ষা পাব। আমার আগের বাসায় অনেক নির্যাতন করেছে।
১৫ দিন এক ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করেছে, কিছু খেতে দেয়নি। ওখান থেকে আরেক জায়গায় পাঠিয়েছে সেখানেও নির্যাতন করা হচ্ছে। আমাকে গরম তেল দিয়ে হাত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাকে বেঁধে মারধর করা হয়েছে। আমাকে বাঁচাও। আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও। না হলে আমি মরেই যাব।

এর আগে সুমির নিয়োগ কর্তা বলেন, গৃহকর্মী সুমি আক্তারকে নিতে হলে ২২হাজার সৌদি রিয়াল (৪ লাখ ৯৫হাজার টাকা) পরিশোধ করতে হবে। সুমিকে আনতে তার ২২ হাজার সৌদি রিয়াল খরচ হয়েছে। সুমিকে নিয়মিত বেতনভাতা পরিশোধ কর হয়েছে।

সুমিকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরালের পর জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম কল্যাণ উইং এর কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে নির্দেশনা পাওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় নাজরান এলাকায় অবস্থিত নিয়োগকর্তার বাড়ি থেকে সুমি আক্তারকে উদ্ধার করে একটি সেফহোমে রাখা হয়েছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)