বাগেরহাটে গাছচাপায় নিহত দুই, বহু  ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

বাগেরহাটে গাছচাপায় নিহত দুই, বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের রামপাল ও ফকিরহাট উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে শিশু ও নারীসহ দুইজনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে রামপাল উপজেলার উজলকুড় গ্রামে শিশু সামিয়া খাতুন (১৫) ও ফকিরহাট উপজেলার চাকুলী গ্রামের গৃহবধূ হীরা বেগম (২৫)।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের দুুবলারচরের অস্থায়ী শুটকি পল্লীর ঘরগুলো লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।

নষ্ট হয়ে গেছে কয়েক লাখ টাকার শুটকি। কিছু গাছপালাসহ হারবাড়িয়া ও করমজল প্রজনন কেন্দ্রের দুুটি স্থাপনা ছাড়া সুন্দরবনের বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে বাগেরহাটের উপকূলীয় গ্রামীণ জনপদ। বিভিন্ন উপজেলার শত শত কাঁচা ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

রাস্তাঘাটে গাছ পড়ে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচল। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ও তার ছিঁড়ে গেছে। ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক।

ঝড়ে উপড়ে গেছে হাজার হাজার গাছপালা। ফুসে ওঠা পানি ও অবিরাম বর্ষণে ভেসে গেছে কয়েক হাজার মাছের খামার ও পুকুর। এতে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে মাছ চাষীরা।

পানির তোড়ে ভেঙ্গে গেছে শরণখোলা উপজেলার বগি ও বাগেরহাট সদরের মাঝিডাঙ্গা এলাকার দুটি ভেড়িবাধ। এতে কয়েটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বাগেরহাট শহরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট ও কয়েকশ বাসা-বাড়ি জলমগ্ন হয়ে
রয়েছে।

ঝড়ের তাণ্ডবে শরনখোলা ও মোড়েলগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছ পড়ে বিদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে পড়ায় শুক্রবার রাত থেকে বাগেরহাট জেলার পল্লী বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

রোববার সকাল থেকে বাগেরহাট শহর বিদ্যুৎ বিছিন্ন রয়েছে।

বাগেরহাট দুর্যোগ মোকাবেলা প্রস্তুতি কমিটির ফোকালপারসন এডিসি মো. কামরুল ইসলাম জানান, ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত বিবরণ উপজেলা থেকে এখনও কন্টোল রুমে পাঠানো হয়নি। দুইজনের মৃত্যু ছাড়া হতাহতের কোনো খবর এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নেই। উপজেলা থেকে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত বিবরণ চেয়ে পাঠানো হয়েছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)