বুলবুলে ভেসে গেছে ৫ হাজার ৯২টি মৎস্য ঘের-পুকুর

মাছ রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা
শাকিলা ইসলাম জুঁই, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে সাতক্ষীরায় ভেসে গেছে ৫ হাজার ৯২টি মৎস্য ঘের ও পুকুর। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে মৎস্য খামারিরা।

মৎস্য বিভাগ বলছে, ১০ কোটি ৯৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে মৎস্য ও চিংড়ি চাষিদের দাবি ক্ষতির পরিমাণ হবে আরও কয়েক গুণ বেশি।

ঝড় বাতাস ও পানির তুফানে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে প্রতিদিনই বিভিন্ন ঘেরে মারা যাচ্ছে লাখ লাখ টাকার মাছ।

অধিকাংশ খামারিদের অভিযোগ, বার বার খবর দিলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখতে ঘটনাস্থলে আসছে না মৎস্য বিভাগ।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে ও জলোচ্ছ্বাসে লন্ডভন্ড করে দিয়ে গেছে উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর, আশাশুনি, তালা সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি, গাছ-গাছালি, ধানসহ বিভিন্ন শীতকালীন ফসল।

ভেসে গেছে ৫ হাজার ৮০০ হেক্টর জমির মৎস্য ঘের।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবন সংলগ্ন বুড়িগোয়ালিনী, গাবুরা ও তালা উপজেলার মৎস্য চাষিরা। চিংড়ী বাগদা, গলদা, সাদা পোনা সহ বিভিন্ন প্রজাতির কোটি কোটি টাকার মাছ ভেসে যাওয়ায় সর্বশান্ত হয়েছেন তারা।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবের দিন যতই গড়াচ্ছে, ততই যেন মৎস্য চাষিদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেরিয়ে আসছে। ঝড় বাতাস ও পানির তুফানে আঘাত প্রাপ্ত মাছগুলো দ্বিতীয় দফায় মরতে শুরু করেছে। সে কারণে বেশি দিশেহারা হয়ে
পড়েছেন চাষিরা।

তারা বলছেন, বার বার খবর দিলেও কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা দেখতে ঘটনাস্থলে আসেনি মৎস্য বিভাগ।

মৎস্যচাষিদের এই অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের কাছে সুদমুক্ত ঋণ দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। তা না হলে, যেমন মাছ উৎপাদন ব্যাহত হবে, তেমনি বিদেশে মাছ রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন তারা।

তালা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমান জানান, ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে চাষীদের সুদমুক্ত ঋণ দেওয়া উচিৎ। না হলে মাছ রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

 ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে বাগদা, গলদা চিংড়ি সহ ছোট বড় ৫ হাজার ৯২টি  মৎস্য ঘের ও পুকুর ভেসে গিয়ে ১০  কোটি ৯৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য অফিসার মো. মশিউর রহমান জানান, সাতক্ষীরা জেলায় প্রতিবছর বাগদা, গলদা, হরিণা চিংড়ি সহ মোট ১ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিকটন মাছ উৎপাদন হয়।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)