ব্যায়াম ছাড়াই মেদ ঝরাতে কফির জাদু!

ব্যায়াম ছাড়াই মেদ ঝরাতে কফির জাদু!

নিজস্ব প্রতিবেদক

চা-কফির নেশায় মেটাবলিক রেট কমে ওজন বাড়ে বলেই জানেন অনেকেই। এর সঙ্গে দুধ-চিনি যোগ হলে তো কথাই নেই। মেদের ঘরে ষোলো আনাই যোগ হল। তবে এবার ডায়েটেশিয়ানরা মেদ কমানোর ওষুধ হিসেবে কফিকে চিহ্নিত করছেন।

কফির সঙ্গে কিছু আনুষাঙ্গিক খাবারের সৌজন্যেই এবার কমাবে মেদ।

পুষ্টিবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী, এই ডায়েটে পরিশ্রমও কম হয়। দিনে কম করে তিন কাপ বা ৭২০ মিলি কফি খান। হালকা রোস্টেড কফি বিন গুঁড়ো করে ঘরেই ফিল্টার করা জল দিয়ে বানিয়ে নিন কফি।

তবে এর সঙ্গে মোটেই দুধ–চিনি–ক্রিম মিশিয়ে ক্যালোরি বাড়াতে যাবেন না। কফির পাশাপাশি খান ১৫০০ ক্যালোরি খাবার। ব্যায়াম করার অভ্যাস না থাকলে ১৫০০ ক্যালোরির চেয়ে বেশি খেলে কিন্তু ওজন কমবে না।

সাধারণত ১৫০০ ক্যালোরিতে ক্ষুধা পাওয়ার কথা নয়। তবু ক্ষুধা নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলে খাওয়ার আগে এক কাপ ব্ল্যাক কফি খেয়ে নিন, খিদে কম পাবে। তার পর খাবেন হোল গ্রিন, শাক–সবব্জি–ফল। এ সবে প্রচুর ফাইবার থাকার ফলে অল্পেই পেট ভরে যায় ও বেশি ক্ষণ ভরা থাকে। তার উপরে এদের ক্যালোরি কম, পুষ্টি বেশি। ফলে কফির সঙ্গে নিলে হু হু করে ওজন কমে যাবে।  

কফির গুণাগুণ

কফি ওজন কমাতে সক্ষম কিনা এ নিয়ে প্রচুর গবেষণা চলছে সারা বিশ্ব জুড়েই। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে, এখন যা খাচ্ছেন তার চেয়ে দ্বিগুণ কফি খেলে ওজন, বিএমআই (ওজনের সূচক) ও চর্বি প্রায় ১৭–২৮ শতাংশ কমে যায়। খাবার খাওয়ার আগে কফি নিলে কম খাবারে পেট ভরে যায়। ব্যায়ামের আগে খেলে দ্বিগুণ এনার্জি আসে। ক্যালোরি ও ফ্যাট ঝরে বেশি। ব্যায়ামের পর খেলে আরও বাড়ে চর্বি ঝরার হার।

তবে অবশ্যই কফি খাওয়ায় মাত্রা রাখতে হবে। না হলে খিদে–ঘুম কমে গিয়ে থেকে অনিদ্রা, মাথাব্যথা, রক্তচাপ বাড়ার সমস্যা হতে পারে। হাড় নরম হয়ে যেতে পারে, অবসাদ গ্রাস করতে পারে। গ্যাস–অম্বলেও কাবু হতে পারেন।

অতএব কফি খান, তবে মাত্রাতিরিক্ত নয়। সঙ্গে মেনে চলুন ডায়েটের অন্য নিয়মগুলোও।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/ডিএ

এই রকম আরও টপিক