সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিজেকে মন্ত্রী নয়, দেশের একজন কর্মী মনে করি।
তিনি বলেন, আমি কখনোই নিজেকে দেশের মন্ত্রী ভাবি না, একজন কর্মী মনে করি। আমি আমার কাজকে ভালোবাসি। এজন্য কঠিন পরিশ্রম করি।
আজ রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের (এআইইউবি) অডিটোরিয়ামে সড়ক নিরাপত্তা ও সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, রোড সেক্টর খুব চ্যালেঞ্জিং। আমরা সড়ক যোগাযোগ ক্ষেত্রে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর ডায়নামিক নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, কর্ণফুলী টানেল হচ্ছে। মেট্রোরেলের কাজও চলছে। মোট ছয়টি মেট্রোরেল তৈরি করা হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে সেটা চালু হবে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল করার চিন্তাভাবনা করছি। ঢাকার বাইরে ১০টি ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছি, আরও ১০টি নির্মাণাধীন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেন করা হবে। এ মহাসড়কে এডিবি অর্থায়ন করবে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কও চার লেন হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব মহাসড়ক চার লেন করা হবে। সেনাবাহিনী এত সুন্দরভাবে তৈরি করেছে, ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা সড়ক ইউরোপের রাস্তাকেও হার মানাবে।
মন্ত্রী বলেন, সড়কে শৃঙ্খলার জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। কিছু গাড়ি আছে, তারা সিটিং (সার্ভিস) লিখে রাখে। আসলে তারা সিটিং না, চিটিং সার্ভিস। নতুন আইন বাস্তবায়ন করা হবে। কিছুদিন শিথিল করেছিলাম সচেতনতা বাড়াতে। দু’সপ্তাহ সময় দিয়েছিলাম, সেটা শেষ হয়েছে। আজ থেকে নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হবে। যত বাধাই আসুক, আমি এগিয়ে যাব।
তিনি বলেন, আমরা মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছি। যে দেশ পাকিস্তানকে যুদ্ধ করে জয়ী হয়েছে, সেই বাংলাদেশ এখন সব সূচকে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। এখন পাকিস্তানের টিভির টকশোতে আলোচনা হয়, মুঝে বাংলাদেশ বানাদো।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান নাদিয়া আনোয়ার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল
