ইরানে তেলের দাম বৃদ্ধিতে বিক্ষোভ, নিহত ২

ইরানে তেলের দাম বৃদ্ধিতে বিক্ষোভ, নিহত ২

রেশনিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তুষ্টি
অনলাইন ডেস্ক

হঠাৎ কর পেট্রোলের দাম বাড়ানো এবং পেট্রোল রেশনিংয়ের ঘোষণা দেয়ার পর ইরানে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানী তেহরানসহ সিরজান, বেহবাহান, কেরমানশাহ, ইসফাহান, তাবরিজ, করদজ, শিরাজ, ইয়াজদ, বোশেহর ও সারি শহরে। বিবিসি, ইয়াহু নিউজসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এসব বিক্ষোভে দুইজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে।  

পেট্রোলের দাম অন্তত শতকরা ৫০ ভাগ বৃদ্ধি পায় শুক্রবার থেকে পেট্রোল ভর্তুকি উঠিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তের পর থেকে।

পেট্রোলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে দরিদ্রদের জন্য অর্থ বরাদ্দ করার পরিকল্পনা থেকে দাম বাড়ানো হয়েছে।  

ইরান ২০১৫ সালে অর্থনৈতিকভাবে বেশ চাপে পড়েছে ওয়াশিংটন পরমাণু চুক্তি থেকে সরে গিয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে । ইরানে অনেক শহরে ক্ষুব্ধ গাড়িচালকরা তেলের দাম বাড়ার কারণে রাস্তার মাঝখানে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করে বা গাড়ি রাস্তায় ফেলে রেখে প্রতিবাদ প্রকাশ করে।  

সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় ইমাম আলী হাইওয়েতে গাড়ি থামিয়ে পুলিশকে বিক্ষোভে যোগ দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে রাজধানী তেহরানের গাড়িচালকরা।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাতকারে কৌঁসুলি মোহাম্মদ জাফর মোন্তাজেরি বলেন, বাইরের শত্রুরা দায়ী এসব ঘটনার সঙ্গে। এসব আন্দোলন করা হচ্ছে তাদের ইন্ধনে।  

এর আগে দেশটির সরকারি ঘোষণায় জানানো হয়, এক লিটার পেট্রোলের নিয়মিত মূল্য ১০ হাজার রিয়াল থেকে ১৫ হাজার রিয়াল হয়ে যাবে। এছাড়া মাসে প্রত্যেক প্রাইভেট যানের জন্য ৬০ লিটার তেল বরাদ্দকৃত থাকবে। এছাড়া কেউ নির্ধারিত পরিমাণের বাইরে পেট্রোল কিনতে চাইলে প্রতি লিটারের মূল্য পড়বে ৩০ হাজার রিয়াল।  

দেশজুড়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ইরানের শীর্ষস্থানীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী অর্থনৈতিক পরিষদের এই ঘোষণার ফলে। গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্ব শক্তির পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়ার পর দেশটির বিরুদ্ধে নতুন করে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তখন থেকেই ইরান অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে রয়েছে।

স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদ আবাদি বলেন, এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন সিরজানে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ওই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন কিনা তা জানতে আমরা তদন্ত করছি। শহরটিতে শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তিনি জানান, ‘সিরজানের বিক্ষোভে সশস্ত্র মুখোশধারী ব্যক্তিরা অনুপ্রবেশ করে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায় কয়েকজন আহত হয়েছেন।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/ডিএ