অযোধ্যা রায়ের পুনর্বিবেচনা চাইবে মুসলিম ল বোর্ড

অযোধ্যা রায়ের পুনর্বিবেচনা চাইবে মুসলিম ল বোর্ড

রায় বদলের আশা নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে
অনলাইন ডেস্ক

অযোধ্যা রায় পুনর্বিবেচনার জন্য মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এবং জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবে। লখনউয়ে বোর্ডের বৈঠক এবং দিল্লিতে জমিয়তের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে আজ এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

শীর্ষ আদালত অযোধ্যা রায়ে বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে রামমন্দির নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে। সুন্নি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ডকে অন্যত্র ৫ একর জমি দিতে বলা হয়েছে মসজিদ নির্মাণের জন্য।

 

রায়ের পরে ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান জাফর ফারুকি জানিয়েছিলেন যে রিভিউ পিটিশন চান না তারা। আজও তিনি সে কথাই বলেছেন ল বোর্ডের সিদ্ধান্ত জানার পরে। অযোধ্যা মামলার অন্যতম প্রধান আবেদনকারী ইকবাল আনসারিও জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি রায়ের পুনর্বিবেচনা চান না। তাঁর মতে, ‘রিভিউ চাইলেই রায় বদলাবে বলে আমি মনে করি না।

ল বোর্ড এবং জমিয়তের নেতারাও রায় বদলের আশা করছেন না। জমিয়ত-প্রধান মৌলানা আরশাদ মাদানি এ দিন বলেন, ‘আমাদের আর্জি হয়তো খারিজই হয়ে যাবে। কিন্তু তবুও আমরা আর্জি জানাব। ’ অযোধ্যা রায় আসার আগে মাদানিই বলেছিলেন অবশ্য যে রায় যা-ই হোক, তারা মেনে নেবেন। কিন্তু ‘বিকল্প’ জমির প্রশ্নে সংগঠনের মধ্যে অসন্তুষ্টি আছে। রিভিউ চাওয়া হবে কি না, তা ঠিক করতে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গড়া হয়েছিল। কমিটি নতুন আর্জি জানানোর পক্ষেই তার মত দিয়েছে। জমিয়ত এবং ল বোর্ডের বক্তব্য, মসজিদের জন্য ‘বিকল্প’ জমি তাঁদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এটা হতে পারে না।   

ল বোর্ডের সম্পাদক জাফরিয়াব জিলানি জানান, ‘মসজিদের জমি আল্লাহর। শরিয়ত মোতাবেক ওই জমি অন্যকে দেওয়া যাবে না। মসজিদের জমির বদলে কিছু নেওয়াও যাবে না। ’ 

জমিয়তের হয়ে অযোধ্যা মামলার আবেদনকারী ছিলেন এম সিদ্দিক। তিনি এ দিন দাবি করেন, ‘অযোধ্যা রায় তথ্যপ্রমাণ এবং যুক্তির উপরে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ’ ল বোর্ডও তার বিবৃতিতে বলেছে, ‘১৯৯৪ সালে সুপ্রিম কোর্টই বাবরি মসজিদ ধ্বংসকে জাতীয় লজ্জা বলেছিল। সেই লজ্জা মসজিদের জন্য বিকল্প জমি দিয়ে ঢাকা যাবে না। বর্তমান রায়েও বাবরি ধ্বংসের নিন্দাই করা হয়েছে। ’

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/ডিএ