রাঙ্গামাটিতে দুপক্ষের গোলাগুলিতে নিহত ৩

রাঙ্গামাটিতে দুপক্ষের গোলাগুলিতে নিহত ৩

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটির রাজস্থলীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির তিন কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন-মনারাম তংঞ্চঙ্গ্যা (কার্বারি) ও তার ছেলে শুক্রমনি তংঞ্চঙ্গ্যা। উভয়ে বান্দরবান জেলার নোয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে রাজস্থলী উপজেলার গাইন্দা ইউনিয়নের ইসলামপুর বালুমুড়ার মারমা পাড়া এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তবে নিহত অপরজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার গাইন্দা ইউনিয়নের ইসলামপুর বালুমুড়া মারমা পাড়া এলাকায়
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) পক্ষের মধ্যে সংর্ঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়।

এ ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির জেএসএস তিন কর্মী প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হয়।

খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় যৌথবাহিনী একটি বিশেষ দল।

তবে এর আগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে সংঘর্ষকারীরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ ও একটি অস্ত্র উদ্ধার করে।

রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবির বলেছেন, এ ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায়
পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির দুপক্ষের অভ্যন্তরিণ কোন্দলের কারণে এ ঘটনা
ঘটেছে। এখনো মামলা হয়নি। পুলিশ ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করছে।

অন্যদিকে এ বিষয়ে স্থানীয় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জেএসএস নেতাদের কথা বলতে নারাজ।

তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জেএসএস একটি সূত্র নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক বলেছেন, যারা নিহত হয়েছে তারা সাধারণ গ্রামবাসী। এরা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কর্মী না। এটা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি
সমিতি জেএসএস বিরুদ্ধে সাজানো নাটক। তারা মারমা লিবারেল পার্টি গুলিতে নিহত হয়েছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)