কিশোর সন্তানদের হতাশা ধরতে পারছেন না অভিভাবকরা

কিশোর সন্তানদের হতাশা ধরতে পারছেন না অভিভাবকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্প্রতি একটি মার্কিন গবেষণায় বলা হয়েছে, ৪০% অভিভাবকরাই সন্তানদের মেজাজের পরিবর্তন ও হতাশার লক্ষণগুলোর মধ্যে পার্থক্য করতে হিমশিম খান।

অভিভাবকদের জন্য একটি কিশোরের হতাশা চিহ্নিতকরণের মধ্যে তার স্বাভাবিক উত্থান-পতনের বা আরও বড় কিছুর মধ্যাকার পার্থক্য বলতে পারাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি, যা একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি নতুন জাতীয় জরিপ অনুযায়ী, শতকরা ৪০ ভাগ অভিভাবকরা সন্তানদের মেজাজের পরিবর্তন ও হতাশার লক্ষণগুলোর মধ্যে পার্থক্য করতে হিমশিম খান। আর শতকরা ৩০ ভাগ প্রতারিত হন তাদের সন্তানদের সুন্দরভাবে লুকিয়ে রাখা অনুভূতিগুলো বুঝতে না পেরে।

গবেষকদের মতে, কিছু অভিভাবক তাদের সন্তানদের মেজাজ ও ব্যবহার দেখে হতাশা বুঝে ফেলার ক্ষমতাকে একটু বড় করে দেখেন। একজন অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী অভিভাবক 'কিছু একটা ভুল আছে' এমন বিভিন্ন সূক্ষ্ম সংকেত ধরতে ব্যর্থ হন। এই জরিপ আরও বলে হতাশার ব্যাপারটি মধ্য ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রায় একই রকম।   

প্রতি চারজনের মধ্যে একজন অভিভাবক বলেন যে তার সন্তান এমন এক বা একাধিক হতাশাগ্রস্ত সহপাঠীর সাথে পরিচিত এবং প্রতি দশজনে একজন অভিভাবক জানান তাদের সন্তান এমন একজন সহপাঠীকে চেনে যে আত্মহত্যা করেছে।

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানগুলোর সাথে হতাশা ও আত্মহত্যার এই স্তরের পরিচিতি বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ যা মার্কিন তারুণ্যের মধ্যে আত্মহত্যায় গত এক দশকে নাটকীয় বৃদ্ধি দেখিয়েছে।  

সূত্র: নিউজএইটিন

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/ডিএ