নারীর ইজ্জতের মূল্য ৬০ হাজার টাকা?

নারীর ইজ্জতের মূল্য ৬০ হাজার টাকা?

অনলাইন ডেস্ক

দুই সন্তানের জননী স্বামী পরিত্যাক্তা নারীকে ধর্ষণের পর ৬০ হাজার টাকায় মীমাংসার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নড়াইলের লোহাগড়ায় এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে এ ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়।

জানা গেছে, স্থানীয় থানায় মৌখিক অভিযোগ দেওয়ার পর প্রভাবশালীরা ওই নারীকে সালিসে বসে মীমাংসা করতে বাধ্য করা হয়।

ভুক্তভোগী পরিবার, গ্রামবাসী, পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী অভিযুক্তের বাবার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন।

লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামের মৃত আবু সাইদ সরদারের ছেলে বর্তমানে খুলনার রূপসা থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল আল-মামুন সরদার (২৪) দীর্ঘদিন ধরে ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করে আসছিলেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সর্বশেষ গত ১৩ ও ১৭ নভেম্বর রাতে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করলে ওই নারী গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) লোহাগড়া থানায় আল-মামুন সরদারকে অভিযুক্ত করে মৌখিক অভিযোগ দেয়। পরে এলাকার প্রভাবশালীদের চাপে ওই নারী সালিসে বসতে বাধ্য হয়।
প্রভাবশালীরা ৬০ হাজার টাকায় মীমাংসা করে।

লোহাগড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমানুল্লা-আল বারী বলেন, ওই নারী ১৮ নভেম্বর আমাদের কাছে মৌখিকভাবে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু পরের দিন আবার থানায় এসে জানালেন মীমাংসা করে ফেলেছেন। শুনেছি অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশ কনস্টেবল তাই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন  কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন কর্তৃপক্ষ।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)