বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিট রোটেশন-১১ কে শ্রেষ্ঠ পুলিশ ইউনিটের স্বীকৃতি প্রদান করেছেন আফ্রিকান ইউনিয়ন ইউনাইটেড নেশনস হাইব্রিড মিশন ইন দারফুরের (UNAMID) মিশন প্রধান জেরিমিয়াহ মামাবোলো। সেক্টর সাউথ হেডকোয়ার্টার্স, নিয়ালা সুপার ক্যাম্পের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও নিয়ালা দারফুর এলাকার স্থানীয় জনগণের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এবং গভর্নমেন্ট অব সুদান পুলিশের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং-এ কাজ করার জন্য এবং নিয়ালা ক্যাম্প হস্তান্তর অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা প্রদান করায় বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিটকে গত ১৯ নভেম্বর এ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
১৯ নভেম্বর নিয়ালা সুপার ক্যাম্প সুদান গভর্নমেন্টের নিকট হস্তান্তর করা হয়। বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিটের পক্ষে কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম স্বীকৃতি সনদ গ্রহণ করেন বলে বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিটের অপারেশনস অফিসার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুক মিয়া পিপিএম ইমেইলে নিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানান।
উক্ত হস্তান্তর অনুষ্ঠানে UNAMID পুলিশ কমিশনার ড. সুলতান তিমুরী, মিশন সাপোর্ট ডিভিশনের প্রধান প্রেম সিং, নিয়ালা প্রদেশের গর্ভণর মেজর জেনারেল আব্দুল হাসিম, নিয়ালা পুলিশের কমিশনার নিয়াজী সালেহ আহমেদ বাদাওয়ি সহ UNAMID এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য যে, নিয়ালা সুপার ক্যাম্পে বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিট ছাড়াও পাকিস্তান, তাঞ্জানিয়া, বুরুকিনা ফাসো ফর্মড পুলিশ ইউনিট কর্মরত ছিল। শুধুমাত্র বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিট এ স্বীকৃতি অর্জন করে।
বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিট রোটেশন-১১ গত মে মাসের ২৫ তারিখ নিয়ালা সুপার ক্যাম্পে তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
প্রসঙ্গত, দারফুরে ২০০৫ সালে জাতিগত দাঙ্গা (আরব-অনারব) ছড়িয়ে পড়ে। ২০০৬ সালে দারফুর পিস এগ্রিমেন্ট চুক্তির আওতায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী কাজ শুরু করে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিট ২০০৮ সাল থেকে দারফুরে কর্মরত রয়েছে। গত ১৯ নভেম্বর নিয়ালা সুপার ক্যাম্প গর্ভণমেন্ট অব সুদানের নিকট হস্তান্তর হওয়ার পর বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিট এল-ফেশার সেক্টর নর্থ-এ শিফট করে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর কার্যক্রমের ফলে সুদানের দারফুরে জাতিগত দাঙ্গা প্রশমিত হওয়ায় শান্তি ফিরে এসেছে। যার ফলে সেক্টর সাউথ হেডকোয়ার্টার্স, নিয়ালা সুপার ক্যাম্প সুদান সরকারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। ইতোপূর্বে সেক্টর ইস্ট আলদাইন এবং সেক্টর ওয়েস্ট আল জেনিনা সুদান সরকারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ৪০৪৫ প্রস্তাবনা অনুযায়ী আগামী ২০২০ সালের ৩১ অক্টোবর সেক্টর নর্থ এল-ফেশার সুদান সরকারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/ডিএ