‘ভাই লীগ’ মুক্ত আওয়ামী লীগ চাই’
নাটোরে অভিনব পোস্টারিং

‘ভাই লীগ’ মুক্ত আওয়ামী লীগ চাই’

নাটোরে ‘ভাই লীগমুক্ত জেলা আওয়ামী লীগ চাই’ দাবি সম্বলিত পোস্টারে শহর ছেয়ে গেছে। অভিনব ওই পোস্টারটি শহবরবাসীর কাছে আলোচনার খোরাক জুগিয়েছে। জেলা আওয়ামী যুবলীগের অর্থ সম্পাদক ও নাটোর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরজু শেখের পক্ষ থেকে এসব পোস্টার টানানো হয়েছে।

শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় লাগানো চার রং এর ওই পোস্টারে লেখা, ‘হঠাও ভাই লীগ, বাঁচাও শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ’।

আরও লেখা রয়েছে ‘প্রিয় নাটোরবাসী ও আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ, হাইব্রীড ও কাউয়া লীগ থেকে জননেত্রীর
দলকে ও দেশকে বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধ হোন! এবং ত্যাগি নেতাকর্মীদের সঠিক মূল্যয়ণের জন্য সর্বদাই সচেষ্ট থাকুন। আহবানে মো. আরজু শেখ।

শনিবার সকালে নাটোর শহরের সড়কে পোস্টার দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন মোবাইল ফোনে ছবি তুলে ফেসবুকে দিলে অল্প সময়েই তা ভাইরাল হয়ে যায়।

কাউন্সিলর আরজু শেখ জানান, দলে অনুপ্রবেশকারী ঠেকাতে দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের দীর্ঘদিনের ঘোষণা ছিল।

এবার মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও এ দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। পোস্টার করে অনুপ্রবেশকারীদের দলে না নেওয়ার দাবির পাশাপাশি
তৃণমূলের ত্যাগী ও নিবেদিত প্রাণ কর্মীদের মূল্যায়ণের দাবি জানাচ্ছি।

আপনার জানেন বর্তমানে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনে ভাইলীগ হাইব্রীড এবং কাউয়া লীগের ছড়াছড়ি। এরাই বিভিন্ন পদ পদবী নিয়ে নাটোর জেলা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ত্যাগী ও নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মীরা আজ উপেক্ষিত।
আমি পোস্টারের মাধ্যমে তৃণমূলের প্রাণের দাবিই তুলে ধরেছি। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ‘কাউয়া’ শব্দটি জনপ্রিয় করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

গত ২০১৭ সালের মার্চে সিলেটে বিভাগীয় তৃণমূল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন বলেন যে, সংগঠনে কাক ঢুকছে।

তিনি বলেন, প্রচার লীগ, তরুণ লীগ, কর্মজীবী লীগ, ডিজিটাল লীগ, হাইব্রিড লীগ আছে। কথা হাছা, সংগঠনে কাউয়া ঢুকছে। জায়গায় জায়গায় কাউয়া আছে। পেশাহীন পেশাজীবদের দরকার নেই। ঘরের ভেতর ঘর বানানো চলবে না। মশারির ভেতর মশারি টানানো চলবে না।

এসব বিষয়ে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা জজ কোর্টের পিপি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আরজু শেখ নাটোর জেলা আওয়ামী যুবলীগের অর্থ সম্পাদক ও নাটোর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর। তিনি আওয়ামী লীগের একজন প্রাথমিক সদস্যও নন। তিনি বেশ কিছু অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত বলে মানুষের দৃষ্টি ফিরিয়ে নিজেকে একজন ভালো মানুষ প্রমাণ করতেই হটাৎ এমন পোস্টারিং করেছেন।

এছাড়াও জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দলের সর্বস্তরেই যখন শুদ্ধি অভিযান জালানো হচ্ছে তখন তার মতো একজন বিতর্কিত মানুষের মুখে ওইসব নীতিবাক্য মানায় না।

(নিউজে টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)