শীতে কাঁপছে দেশ, সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড

ফাইল ছবি

শীতে কাঁপছে দেশ, সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

শীতের দাপটে ওষ্ঠাগত জনজীবন। তীব্র শৈত্যপ্রবাহে গত ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙে দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। আর আজ এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায়। এর আগে ১৯৬৮ সালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এর আগে সবচেয়ে কম তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিলো ১৯৬৮ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে আর সেটি ছিলো ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেতুলিয়াতে ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান জানান, দেশের দুটি স্থানে আজ তাপমাত্রা তিন ডিগ্রির নীচে নেমে এসেছিলো। তেতুলিয়াতে ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি আর সৈয়দপুরে ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এছাড়া নীলফামারীর ডিমলা ও রাজারহাটে ৩ দশমিক ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এর আগে সবচেয়ে কম তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিলো ১৯৬৮ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে আর সেটি ছিলো ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  

আবহাওয়াবিদদের মতে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে নেমে আসা শীতল বাতাসের কারণে দেশজুড়ে বিশেষ করে সিরাজগঞ্জ থেকে কুড়িগ্রাম পর্যন্ত অঞ্চল জুড়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ চলছে।

এছাড়া মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের মধ্যাঞ্চলে অর্থাৎ ঢাকা, টাঙ্গাইল ও সিলেট অঞ্চলে।

মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে খুলনার দক্ষিণ পশ্চিম থেকে শুরু করে বরিশাল, পটুয়াখালী, সীতাকুণ্ড, রাঙ্গামাটি এলাকায়। দেশের একমাত্র চট্টগ্রাম অঞ্চলে এখনো শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব পড়েনি।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দু একদিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তবে  উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির কাছাকাছিই থাকবে বেশ কয়েকদিন। আর এ পরিস্থিতি পুরো জানুয়ারি মাস জুড়েই থাকবে বলে ধারণা করছে আবহাওয়া দপ্তর।

গতকাল রোববার দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপরে রাজশাহীতে ঠান্ডা ছিল বেশি। সেখানকার তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারের টেকনাফে ২৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সম্পর্কিত খবর