জেএমবি সদস্য হত্যায় ৩ জেএমবির ফাঁসি!

জেএমবি সদস্য হত্যায় ৩ জেএমবির ফাঁসি!

মো. রফিকুল আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

নিজ দলের কর্মী সালমানকে গলাকেটে হত্যা মামলায় রায়ে তিন জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড করেছেন আদালত।

এক লাখ টাকা অনাদায়ে অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার চাঁনপাড়া গ্রামের মৃত এরশাদের ছেলে মো. সানোয়ার (পলাতক), গোমস্তাপুর উপজেলার বালুগ্রাম রাজারামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দসের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর
আলম এবং একই উপজেলার বালুগ্রাম দক্ষিণটোলা গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুস শুকুর ওরফে শুকুর।

অন্যদিকে যাবজবজীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, গোমস্তাপুর উপজেলার বোগলা গোপালনগর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে সামশুল হক, নওঁগা জেলার মান্দা উপজেলার আব্দুল মোতাকাব্বির ওরফে বুলবুল ওরফে ফাহিম ওরফে নবীন ওরফে সজিব ওরফে সনি, একই উপজেলার চকপুস্তম গ্রামের নজরুল ইসলাম টুনুর ছেলে সাইফুল ইসরাম ওরফে সাইফুল ও নিমতলা ঘন্টুটোলা গ্রামের মাহাতাবের ছেলে মো. শামীম।

আজ সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শওকত আলী একজন পলাতক ছাড়া অন্যান্য আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় দেন।

অতিরিক্ত সরকারি কৌশুলী আঞ্জুমান আরা জানান, জেএমবি’র অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে আসামিরা ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল রাত ১১ টার দিকে জেলার নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের খোলসি বোরিয়া গ্রামের একটি আমবাগান থেকে ঢাকা জেলার ধানমন্ডির আসগর আলীর ছেলে মো. রুহুল আমীন ওরফে সালমানের গলা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে তার মাথা জেলার গোমস্তাপুর থানার মহানন্দা নদীর ধাইনগর ঘাটে মাটির নীচে পুতে রাখে।

এ ঘটনায় নাচোল থানার এসআই আনিসুর বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে নাচোল থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নাচোল থানার এসআই শ্রী গৌতম চন্দ্র মালী ২০১৫ সালের ২৯ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

সাক্ষ্য প্রমাণাদি শেষে আদালতের বিচারক এই রায় দেন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)