‘টাকা না দিলে শুঁড় দিয়ে আঘাত করে হাতি’

ছবি- সংগৃহীত

‘টাকা না দিলে শুঁড় দিয়ে আঘাত করে হাতি’

বেলাল রিজভী, মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের দোকানপাটে, রাস্থা-ঘাটে, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহনের গতিরোধ করে হাতি দিয়ে অভিনব কায়দায় চলছে চাঁদাবাজি।

কিছুতেই কমছে নাহাতি দিয়ে চাঁদাবাজির এই দৌরাত্ম। প্রায়ই উপজেলার কোনো না কোনো এলাকায় চোখে পড়ছে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির এমন দৃশ্য। নতুন এই চাঁদাবাজি কারণে অতিষ্ঠ হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে উপজেলার সচেতন মহল।

এদিকে, হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি থেকে নিস্তার নেই পথযাত্রীদের। আবার হাতির কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটও। পথচারীদের কেউ কেউ হাতির আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। হাতির কারণে সৃষ্ট কৃত্রিম যানজটে ভোগান্তিরও শিকার হচ্ছেন
উপজেলাবাসী।

সোমবার সকালে সরেজমিনে উপজেলা সদর, নতুন ও পুরান বাজার এলাকায় গিয়ে চোখে পড়ে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির এমন দৃশ্য। রাস্তার দুই পাশে থাকা দোকান ও বাজারের প্রতিটি দোকান থেকে চাঁদা তুলছে। এমনকি রাস্তায় হাতি দিয়ে গাড়ি আটকে ও প্রতিটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা আদায় করে। চাঁদাবাজির এই দৌরাত্ম থেকে বাদ পড়ছে না ফুটপাতের সামান্য আয়ের ব্যবসায়ীরাও। এতে চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

ইজিবাইক চালক জাফর হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাস্তায় মাঝে মধ্যেই হাতির চাঁদাবাজির কবলে পড়তে হয়। টাকা না দিতে চাইলে কিংবা যে পরিমাণ টাকা চায় তা না দিলে হাতি গাড়ির সামনে থেকে সড়তে চায় না। এমন কি শুঁড় দিয়ে আঘাত করে। সুর উঁচিয়ে ভয়ভীতি দেখায়।

বাজারের প্রতিটি দোকানে-দোকানে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির এমন দৃশ্য দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসাদুজ্জামান নামের একজন পথচারী বলেন, প্রায়ই বিভিন্ন জায়গায় এমন চিত্র দেখছি। এটা তো এক ধরণের চাঁদাবাজি। এটা কি দেখার
কেউ নেই। রান্তা বন্ধ করে এতো একধরণের নৈরাজ্য চালাচ্ছে। কেউ তাদের কিছু বলতে পারছে না। এটা কি মগের মুল্লুক নাকি?

কালকিনি থানার ওসি(তদন্ত) মো. হারুন অর রশিদ বলেন, হাতি দিয়ে চাঁদা আদায়ের বিষয়ে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। বিষয়টি দুঃখজনক ও আইন বহির্ভূত কাজ।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)