ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছে শত শত নারী-পুরুষ ও শিশু । মঙ্গলবার ভোর রাতে উপজেলার জলুলী ও পলিয়ানপুর বিওপির মাঠপাড়া সীমান্ত থেকে আরও ৯ জনকে আটক করেছে বিজিবি।
আটককৃতদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী ও শিশু রয়েছে ২ জন। তাদেরকে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
আটককৃতরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক বলে দাবি করছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিজিবি প্রতিদিন যে পরিমাণ আটক করছেন তার চেয়ে অধিক অনুপ্রবেশ করছে।এদিকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মহেশপুর ভারত সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন গুলোর চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের সহায়তায় নিয়ে দ্রুত কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মহেশপুর বিজিবির ৫৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লে.কর্ণেল কামরুল আহসান জানান, মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে যারা বাংলাদেশে আসছে তাদের ব্যাপারে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত অবৈধ প্রবেশের সময় ৫৮ ব্যাটালিয়ানের বিজিবি মোট ২’শ ৩৮ জনকে আটক করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,জেলার সীমান্ত এলাকা ৭০ কিলোমিটার এর মধ্যে ১০ কিলোমিটারে কাটা তারের বেড়া দেওয়া নেই। সেই কারণে মহেশপুর উপজেলার জুলুলী, খোসালপুর, বাঘাডাঙ্গা, পলিয়ানপুর ও শ্যামকুড় সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে শত শত নারী পুরুষ প্রবেশ করছে।
যাদের অধিকাংশই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। ভারতের আসাম ও ব্যাঙ্গালুরসহ ভারতের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করা এ মানুষ গুলোকে ভারতের নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
যে কারণে ভারত সরকারের একটি সরকারি বাহিনীর চাপে তাদের দেশ ছাড়তে হচ্ছে। আর সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ গুলো বলছেন, অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে রাঁতের আধাঁরে শত শত নারী পুরুষ প্রবেশ করছেন। এতে সহায়তা করছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
মহেশপুর থানার ওসি রাশেদুল আলম জানান, এ পর্ষন্ত যারা আটক হয়েছেন তারা সবাই বাংলাদেশী নাগরিক। বিভিন্ন সময় কাজের সন্ধানে তারা কেউ ১০ বছর, আবার কেউ ১৫ বছর আগে ভারতে গিয়েছেন। এ পর্যন্ত মহেশপুর থানায় তাদের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা হয়েছে।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল