'দেশে আসতে চাইলে নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়া'

'দেশে আসতে চাইলে নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়া'

অনলাইন ডেস্ক

সৌদি আরবে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাঁচার আকুতি জানিয়ে ভিডিও বার্তা পাঠানো হবিগঞ্জের সেই হোসনা আক্তার দেশে ফিরে সৌদি আরবে ভয়াবহতার কথা জানাতে গিয়ে আতকে উঠেন। সেই দিনগুলোর কথা তিনি দ্রুত ভুলে যেতে চান।

হোসনা জানান, সৌদি আরব যাওয়ার পর তাকে জেদ্দা থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে ঠিকভাবে খেতে দেয়া হয়নি একটি ঘরে বন্দী করে রাখা হয়।

এরপর তার উপর চলে অমানসিক নির্যাতন। দেশে আসতে চাইলে নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়া হয়।

তিনি জানান, আমি দেশে আসার কথা বললে মালিক আমাকে বলে ‘তোকে দুই বছরের জন্য কিনে এনেছি। সুতরাং তোকে আমরা বাংলাদেশে পাঠাব না।

এরপরও আমি আসতে কান্নাকাটি করলে তারা আমাকে মারপিট করে। পরে একদিন লুকিয়ে আমি বাসার ছাদে দিয়ে ভিডিও করে আমার স্বামীর কাছে পাঠাই।

‘সেখানে শুধু আমি না, আমার মতো আরও অনেক নারী নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। খোঁজ খবর নিয়ে তাদের উদ্ধার করা উচিত। ’

হোসনার স্বামী শফিউল্লাহ বলেন, আমি গরিব হওয়ার কারণে দালাল সাহিনের প্রলোভনে পরে আমার স্ত্রীকে বিদেশ পাঠিয়েছিলাম। আর যেন কোন নারী বিদেশ না যায়। আমি দালাল সাহিনের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। সেই সঙ্গে আমি আমার ক্ষতিপূরণ চাই।

উল্লেখ্য, ভাগ্য বদলের আশায় মাত্র ২৫ দিন আগে সৌদি আরব গিয়েছিলেন হোসনা আক্তার। কিন্তু সেখানে যাওয়ার কয়েকদিন পর থেকেই নির্মম নির্যাতনের শিকার হন তিনি। এক পর্যায়ে নির্যাতন সইতে না ফেরে বাঁচার আকুতি জানিয়ে স্বামীর কাছে একটি ভিডিও বার্তা পাঠান হোসনা।  

অবশেষে ব্রাক ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টায় বুধবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের এসভি-৮০৪ ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন তিনি। পরে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল