শরীয়তপুরের নড়িয়ায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও নড়িয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
তবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন দুলুখণ্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
স্থানীয় ও শিক্ষার্থীর পরিবার জানায়, গত ১৬ নভেম্বর শনিবার দুপুরে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক জিয়াউল আবেদীন বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে ডেকে অসৎ উদ্দেশ্যে ওই ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। বিষয়টি ছাত্রীর ছোট বোন দেখে ফেলেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ওই প্রধান শিক্ষকের বিচার চেয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও নড়িয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি চিঠি দেওয়া হয়।
ছাত্রীর মা বলেন, ‘আমরা গরীব। আর আমার মেয়ে প্রতিবন্ধী। জিয়াউল স্যার লাইব্রেরিতে নিয়ে আমার মেয়ের গায়ে হাত দিয়েছে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জিয়াউল আবেদীন বলেন, ২০১৪ সালে বিদ্যালয়ে নৈশ্য প্রহরীর নিয়োগ দেওয়া হয়। সেখানে অনেকে আবেদন করেন। পরে একজন মেধাবী ছেলেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। সেই নিয়োগের বিষয় নিয়ে ওই এলাকার কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। আমি ওই ছাত্রীর সাথে কিছু করিনি।
নড়িয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহ মো. ইকবাল মনসুর বলেন, এটা একটি নিন্দনীয় কাজ। এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার একটি দরখাস্ত পেয়েছি। পরে ছাত্রী ও তার পরিবারের জবানবন্দী নিয়েছি। তদন্তের জন্য নড়িয়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করা হবে।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়ন্তী রুপা রায় বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। প্রাথমিক তদন্তের জন্য দু’জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)