বিয়ের ফাঁদে পা দিয়ে চীনের যৌনবাজারে পাকিস্তানি নারীরা

বিয়ের ফাঁদে পা দিয়ে চীনের যৌনবাজারে পাকিস্তানি নারীরা

অনলাইন ডেস্ক

পাকিস্তানের দরিদ্র মেয়েদের বড় অঙ্কের টাকার লোভ দেখিয়ে চীনা নাগরিকদের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। এরপর চীনে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয় তাদের। সেখানে পাকিস্তানের মেয়েদের করা হয় যৌনকর্মী। এই ধরনের পাচার চক্র দিনের পর দিন চলছে প্রশাসনের নাকের ডগার উপরে।

দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি এই তথ্য জানিয়েছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, নারী পাচারচক্রের কবলে বেশি পড়ছেন পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। বিশেষ করে দেশটির খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ দরিদ্র হওয়ার কারণে এই ফাঁদে বেশি পা দিচ্ছে। কিছু দালাল পাকিস্তানি মেয়ের দাম বাবদ চীনা কাস্টমারদের কাছ থেকে ২৫ থেকে ৬৫ হাজার ডলার করে নেয়।

 

সেখান থেকে গরিব পরিবারদের দেওয়া হয় মাত্র দেড় হাজার ডলার। পাঞ্জাব প্রদেশ, ইসলামাবাদ থেকে এমন ৫২ চীনা নাগরিক এবং ২০ পাকিস্তানির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কিন্তু প্রমাণের অভাবেই ছাড়া পেয়ে গেছে ৩১ চীনা নাগরিক।

পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির কর্মকর্তা জামিল আহমেদ বলেন, 'পাকিস্তানি নারীদের চীনে পাচার করে তাদের দিয়ে পতিতাবৃত্তির কাজ করানোর খবর আমাদের কানে আসার পর থেকেই এই দলের ওপর নজর রাখছিলাম আমরা। বেশ কয়েকটি দল এই কাজের সাথে জড়িত। প্রধানত পাকিস্তানি খ্রিস্টান সংখ্যালঘু মানুষই এদের মূল লক্ষ্য হয়ে থাকে। '

জামিল আহমেদ আরও জানান, ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা স্বীকার করেছে যে তারা কমপক্ষে ৩৬ জন পাকিস্তানি মেয়েকে চ‌ীনে পাঠিয়েছে। চীনে তাদের পতিতাবৃত্তির জন্যই ব্যবহার করা হচ্ছে। চীনে ‘এক সন্তান নীতি’ চালু থাকায় মেয়ের সংখ্যা একটানে অনেকটা নেমে গেছে। যার ফলে সে দেশে নারী পাচার করে আনার ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে।   ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, মায়ানমার, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনাম থেকে নারী পাচার সবচেয়ে বেশি হয়।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/ডিএ