কাপড়ে রক্তের দাগ, ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ফাঁস

কাপড়ে রক্তের দাগ, ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ফাঁস

অনলাইন ডেস্ক

ছাত্রীর মায়ের আগেই সন্দেহ হয়। কেন স্কুলে যেতে চাইত না মেয়ে। স্কুলে যাওয়ার কথা বললেই নানা অজুহাত দেখাত।   বলত, পেটে ব্যথা অথবা অন্য কোনো বাহানা।

একদিন কিশোরীর হাবভাব অস্বাভাবিক লাগে মায়ের। পরপর দুদিন ছাত্রীর পোশাকে রক্তের দাগ দেখতে পান তিনি। এরপর কাঁদতে কাঁদতে মাকে শিক্ষকের নির্যাতনের কথা জানায় তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রী।

ভারতের নদিয়ার তেহট্ট থানার বেতাই জিতপুর এলাকার ঘটনা এটি।

এ ঘটনায় তেহট্ট থানায় অভিযোগ করা হয়।

পরে স্কুলের অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়।

ওই ছাত্রীর পারিবারে অভিযোগ, স্কুলের মধ্যেই ওই ছাত্রীর ওপর নির্যাতন চালাত শিক্ষক। স্কুল চলাকালীন ওই ছাত্রীকে আলাদা করে ডেকে দোতলায় নিয়ে যান অভিযুক্ত শিক্ষক রজতজ্যোতি বিশ্বাস। ছুটির পরেও তাকে স্কুলের দোতলায় ডেকে নিয়ে যেতে দেখেছে স্কুলের অন্য শিক্ষার্থীরা। সেখানেই চলত যৌন নির্যাতন। বাড়িতে বা বন্ধুদের এ বিষয়ে কিছু জানাতে নিষেধ করেন অভিযুক্ত শিক্ষক। এজন্য ভয়ও দেখানো হত।

‌ভয়ে কয়েকদিন ধরে স্কুলে আসতে চাইত না মেয়ে। স্কুলে আসার কথা বললেই নানা অজুহাত দেখাত সে। কখনো বলত, পেটে ব্যথা তো কখনো অন্য কোনো বাহানা। কিন্তু পরপর দুদিন ছাত্রীর পোশাকে রক্তের দাগ দেখতে পান তিনি। এরপর মেয়েকে চেপে ধরতেই কাঁদতে কাঁদতে মাকে সব জানায় সে। আর দেরি করেননি তারা। তেহট্ট থানায় অভিযোগ জানান।  

এরপর শুক্রবার স্কুলে চড়াও হয় স্থানীয় বাসিন্দারা। তারাই অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পদ্মাবতী হালদার বলেন, এ সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)