রাজধানীর বেসরকারি স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃত্যুর ঘটনায় তার বয়ফ্রেন্ডকে (ছেলেবন্ধু) আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওই যুবকের নাম আবদুর রহমান সৈকত।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার তাকে আটক হয়। তিনি স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর সাবেক ছাত্র।
এছাড়াও আরও একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআইডি নিয়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।তবে এ দুজনের বিষয়টি অফিসিয়ালি কেউ স্বীকার করেননি।
ঢাকা মাহনগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনায় মেয়েটির ছেলে বন্ধু স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর সাবেক ছাত্র আব্দুর রহমান সৈকতকে আটক করে জিজ্ঞাসাবদ করা হচ্ছে।
এদিকে রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃত্যুর রহস্য এখনও অজানা।
এছাড়া ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে (সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডে ৬৪/৪ নম্বর বাড়ির) সিসি টিভির ফুটেজ উদ্ধার করেছে রমনা থানা পুলিশ।
ফুটেজে (বুধবার) সন্ধ্যা ৬টা ৪৭ মিনিটে ভবনে প্রবেশ এবং রাত পৌনে ১১টায় ভবন থেকে পড়ে যেতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর বেসরকারি স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার লাশ গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। রুম্পার বাবা মো. রুককুন উদ্দিন হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক হিসাবে কর্মরত। মা নাহিদা আক্তার পারুল গৃহিণী। এক ভাই ও এক বোনের রুম্পা সবার বড়।
রুম্পা ২০১৪ সালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস্ স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি, ২০১৬ সালে ভিকারুন্নিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে জিপিএ-৫ এইচএসসি উত্তীর্ণ হন।
রুম্পা স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। আর ছোট ভাই আশরাফুল আলম রাজধানীর ঢাকার ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যয়নরত।
রাজধানী ঢাকার শান্তিবাগে একটি ফ্ল্যাটে মায়ের সঙ্গে থেকে পড়াশোনা করতেন রুম্পা ও তার ছোট ভাই। পড়াশোনার পাশাপাশি রুম্পা টিউশনি করাতেন।
গত বুধবার টিউশনি শেষে বাসায় ফেরার পর রুম্পা বাইরে কাজ আছে বলে আবার বাসা থেকে বের হন। কিন্তু রাতে আর বাসায় ফিরেননি। বৃহস্পতিবার রুম্পার মা-সহ স্বজনরা রমনা থানায় গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)