ভারতের হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকে এনকাউন্টারের পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন অনেকেই, আবার অনেকেই এর বিরাধিতা করছেন।
ধর্ষণের শাস্তি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম। কোনো দেশে ১০ বছর কারাদণ্ড, কোনো দেশে যাবজ্জীবন, আবার কোথাও ক্রসফায়ার। সম্প্রতি ভারতের হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসক গণধর্ষণের ঘটনায় চারজনকে এনকাউন্টার দেওয়া হয়।
কোন দেশে ধর্ষণের কী শাস্তি তা জেনে নেওয়া যাক।
ফ্রান্স : ধর্ষণের ঘটনায় ১৫ বছরের কারাদণ্ড। তবে ঘটনায় ক্ষতি ও নৃশংসতার বিচারে তা ৩০ বছর পর্যন্ত বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হতে পারে।
চীন : ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড।
সৌদি আরব : ধর্ষণের জড়িত থাকলে প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ। তবে তার আগে দোষীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে দেওয়া হয়।
উত্তর কোরিয়া : ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করানো হয়। অপরাধীকে গুলি করে ঝাঁজরা করে দেওয়া হয়।
আফগানিস্তান : আদালত রায় দেওয়ার চারদিনের মধ্যে অভিযুক্তকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয় কিংবা ফাঁসি দেওয়া হয়।
মিসর : সে দেশে এখনো অনেক অপরাধে মধ্যযুগীয় শাস্তির প্রথা রয়েছে। তেমনই ধর্ষণের শাস্তি ফাঁসি।
ইরান : শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ফাঁসি অথবা প্রকাশ্যে পাথর মেরে কার্যকর করা হয়।
ইসরায়েল : দোষ প্রমাণ হলে ১৬ বছরের কারাদণ্ড। সে দেশে ধর্ষণের সংজ্ঞা আরো ব্যাপ্ত। অন্য যৌন নির্যাতনও এর অন্তর্ভুক্ত।
যুক্তরাষ্ট্র : স্টেট ও ফেডারেল আইন অনুযায়ী ধর্ষণের বিচার ভিন্ন। ফেডারেল আইন অনুযায়ী দোষীর সাজা কয়েক বছরের কারাদণ্ড থেকে যাবজ্জীবনও হতে পারে।
রাশিয়া : ধর্ষকের তিন থেকে ছয় বছরের কারাদণ্ড। তবে পরিস্থিতির বিচারে তা ১০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। যদি ধর্ষকের আচরণ অত্যন্ত নৃশংস হয়ে থাকে, তবে ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
নরওয়ে : সম্মতি ছাড়া যে কোনো যৌনতা ধর্ষণের মধ্যে পড়ে। নৃশংসতা অনুযায়ী দোষীর তিন থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড হয়।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)