প্রেমিকার বাবা-মাকে দায়ী করে স্টামফোর্ড ছাত্রের আত্মহত্যা

প্রেমিকার বাবা-মাকে দায়ী করে স্টামফোর্ড ছাত্রের আত্মহত্যা

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর ধোলাইখালের  বাসার ভেতর থেকে সায়েম হাসান শান্ত (২১) নামের এক স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সন্ধ্যার সময় নিজের রুমে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন শান্ত। এর আগে প্রেম মেনে না নিয়ে উলটো মামলা করে হয়রানির জন্য প্রেমিকার মা-বাবাকে দায়ী করে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন তিনি।

সূত্রাপুর থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ধানমণ্ডি শাখার শিক্ষার্থী শান্ত তার অভিভাবকদের একমাত্র সন্তান ছিলেন।

শান্তর বাবা রিপন গণমাধ্যমকে জানান, শান্তর সঙ্গে পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার এলাকার একটি মেয়ের প্রেম ছিল। গত ২৬ নভেম্বর মেয়েটি স্বেচ্ছায় শান্তর বাড়িতে চলে আসে। এরপর মেয়ের বাবাসহ স্বজনরা নিতে এলেও মেয়েটি সেখান থেকে যায়নি।

তখন মেয়েটিকে মারধর করে ওই বাসা থেকে চলে যায় তারা। এরপর মেয়েটির বাবা কোতোয়ালি থানায় ছেলের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করার পর শান্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কয়েক দিন জেল খাটার পরে গত শুক্রবার ছাড়া পেয়েছিল শান্ত।

এরমধ্যেই মেয়েকে নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যায় তার মা-বাবা। শান্ত ছাড়া পাওয়ার পর থেকে এলাকার অনেকেই তাকে এ নিয়ে অপমানজনক কথা শোনাত। বিনা দোষের এমন শাস্তি মেনে নিতে পারেননি শান্ত। এই ক্ষোভে সন্ধ্যায় নিজের রুমে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে। আত্মহত্যার আগে শান্ত তার ফেসবুকে স্ট্যাটাসে তার মৃত্যুর জন্য প্রেমিকার মা-বাবাকে দায়ী করে গেছে বলে জানান তিনি। একমাত্র ছেলেকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় দায়ে মেয়েটির বাবা-মায়ের বিচার দাবি করেছেন শান্তর পরিবার ও স্বজনেরা।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/ডিএ