ময়মনসিংহের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ধর্মঘট

ময়মনসিংহের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহ থেকে সকল রুটে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে। কাল বুধবার বেলা ১২টায় রোড ট্রান্সপোর্ট কমিটির (আরটিসি) জরুরি বৈঠকে বিষয়টি সমাধান হবে বলে প্রশাসন ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে সোমবার রাতে জেলা প্রশাসক ও রোড ট্রান্সপোর্ট কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান এক জরুরি বৈঠকে বসেন জিলা মোটর মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে। ওই বৈঠকে কোনো সুরাহা না হওয়ায় পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা দ্বিতীয় দিনের মতো ধর্মঘট অব্যাহত রাখে।

আর আকস্মিক পরিবহন ধর্মঘটের কারণে মহাবিপাকে ও দুর্ভোগে পড়েছেন ঢাকাসহ দূর-দূরান্তের যাত্রীরা। যাত্রীরা ভোর থেকে ঘুরে ফিরছেন মাসকান্দা আন্ত:জেলা বাস টার্মিনাল, পাটগুদাম ব্রীজ মোড় ও টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকা। কোনো ঘোষণা ছাড়া এভাবে পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ যাত্রীরা। অনেকটা বাধ্য হয়েই
দুই থেকে তিনগুণ ভাড়ায় সিএনজি-অটোরিক্সা বিকল্প পথে ভোগান্তি নিয়ে ছুটছেন গন্তব্যে।

পাটগুদাম ব্রীজ মোড়ে বাসের জন্য অপেক্ষমান ফুলপুরগামী যাত্রী শফিকুল ইসলাম ও স্বপ্না জানান, বিভিন্ন পরিবহনের বাসগুলো প্রান্তিক যাত্রী ছাড়া ফুলপুর-তারাকান্দার যাত্রী তোলে না। কিন্তু বিআরটিসির বাস চলাচল করায় আমাদের যাতায়াত সহজ ও ভোগান্তি মুক্ত হয়েছে।

একইসূরে কথা বলেন, নগরীর চরপাড়া মোড় ও মাসকান্দা বাস টার্মিনালে অপেক্ষমান ত্রিশাল ও ভালুকাগামী কয়েকজন যাত্রী। তারা জানান, ঢাকাগামী এনা ও সৌখিন সার্ভিসের বাসগুলোতে স্থানীয় যাত্রী ওঠাতে চায় না। বর্তমানে বিআরটিসির ১০টি দ্বিতল বাস চলাচল করায় আমাদের যাতায়াত সহজলভ্য হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিআরটিসির একজন ডিপো কর্মকর্তা জানান, ময়মনসিংহ ডিপো থেকে জেলার বিভিন্নস্থানে বাসগুলো চলাচল করায় যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ ও সাশ্রয়ী বোধ করছে। এতে করে বিআরটিসির জনপ্রিয়তা বাড়ছে সাধারণ ও কম দূরত্বের যাত্রীদের কাছে।

জিলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন মন্তা অভিযোগ করে বলেন, অনিয়মতান্ত্রিকভাবে যত্রতত্র বিআরটিসির গাড়ি চালাচ্ছে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে। বিআরটিসির বাস চলাচলে মালিক ও শ্রমিকদের কোনো আপত্তি নেই। তবে আরটিসির বৈঠক করে নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিআরটিসি বাস চলাচল করতে হবে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)