২৯ ঘণ্টা পর ধর্মঘট প্রত্যাহার

২৯ ঘণ্টা পর ধর্মঘট প্রত্যাহার

সাধারণ মানুষকে ২৯ ঘণ্টা জিম্মি করার পর অবশেষে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতি। ফলে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে আবারো ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলা থেকে সারা দেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল-আমিন।

তিনি আরো জানান, জেলা পুলিশের অনুরোধে ও জনগণের কষ্টের কথা ভেবে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্যজোট নেতারা।

ইতিমধ্যে ময়মনসিংহ থেকে বিভিন্ন রুটে গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে।

এর আগে সোমবার বেলা দুইটা থেকে বিআরটিসি ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দ্বন্দ্বের জেরে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয় পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্যজোট।

তবে কী শর্তে প্রত্যাহার করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, সরকারি পরিবহন সংস্থার সঙ্গে দ্বন্দ্বের বিষয়ে বুধবার বেলা ১২টায় রোড ট্রান্সপোর্ট কমিটির (আরটিসি) সঙ্গে মালিক ও শ্রমিক নেতারা আবারো
আলোচনায় বসবেন।

জানা যায়, বিআরটিসি জেলা মোটর মালিক এবং শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক না করে সিদ্ধান্ত ছাড়াই অনিয়মতান্ত্রিকভাবে গাড়ি চালাচ্ছে এমন অভিযোগে সোমবার দুপুর থেকে হঠাৎ করেই বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহন শ্রমিকরা।

তাদের দাবি, বিআরটিসির দ্বিতল বাসগুলো সিটি কর্পোরেশনের ভেতরে চলার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। ডিপো, স্ট্যান্ড অথবা নির্ধারিত জায়গা ছাড়া যত্রতত্র যাত্রী ওঠানোর মাধ্যমে বিআরটিসির বাসগুলো নিয়মিত চলাচল করছে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে। আর আকস্মিক পরিবহন ধর্মঘটের কারণে মহাবিপাকে পড়েন ঢাকাসহ দূর-দূরান্তের যাত্রীরা। কোনো ঘোষণা ছাড়াই এভাবে পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।  
অনেকটা বাধ্য হয়েই দুই থেকে তিনগুণ ভাড়ায় সিএনজি-অটোরিক্সা অথবা বিকল্প পথে বাধ্য হয়েই ছুটেছেন গন্তব্যে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)