চর্মরোগ হলে যে কাজটি করবেন না মোটেও

চর্মরোগ হলে যে কাজটি করবেন না মোটেও

অনলাইন ডেস্ক

দাদ কি ?

দাদ একটি সংক্রামক চর্মরোগ। ইংরেজি:Dermatophytosis তবে "Ringworm" ও "Tinea" নামেও পরিচিত। তবে এর কারণ কোন "worm" বা ক্রিমি নয়। এর কারণ ত্বকের উপরের দিকে (superficially) ছত্রাক সংক্রমণ।

ছত্রাক ঘটিত দাদ
সাধারণত ঘামে ভেজা শরীর, অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন শরীর, দীর্ঘ সময় ভেজা থাকে এমন শরীর, ত্বকে ক্ষত আছে এমন শরীর এই ছত্রাকগুলোর স্পোর (বা,হাইফা) দ্বারা আক্রান্ত হয়। এই ছত্রাকগুলোর সুপ্তিকাল ৩ থেকে ৫ দিন।

দাদের প্রকারভেদ:
১.ট্রাইকোফাইটন- (Trichophyton গণ)
২.এপিডার্মফাইটন (Epidermophyton গণ)
৩.মাইক্রোস্পোরাম (Microsporum গণ)

সংক্রমণ স্হান
শরীরের যেকোন অঙ্গের চামড়ায় হতে পারে।
১.টিনিয়া ক্রুরিস =কুঁচকির (groin) দাদ
২.টিনিয়া ক্যাপাইটিস=মাথার দাদ
৩.টিনিয়া কর্পোরিস= শরীরে(trunk) বা হাত পায়ে দাদ
৪.টিনিয়া পেডিস (অ্যাথলেট'স ফুট)= পায়ের পাতায় দাদ
৫.টিনিয়া আঙ্গুয়াম= নখে দাদ
মাথায় চিরুণী দ্বারা ও পায়ে পুরোন মোজা দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে।

উপসর্গঃ
প্রথমে আক্রান্ত স্থানে ছোট লাল গোটা হয় এবং সামান্য চুলকায়। পরে আক্রান্ত স্থানে বাদামী বর্ণের আইশ হয় এবং স্থানটি বৃত্তাকারে বড় হতে থাকে।

ক্রমে সুনির্দিষ্ট কিনারা সহ বৃত্তের আকার বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং মাঝখানে ত্বক স্বাভাবিক হয়ে আসে।
চুলকানি বৃদ্ধি পায়।

চুলকানোর পর আক্রান্ত স্থানহতে আঠালো রস বের হয়। মাথায় হলে স্থানে স্থানে চুল উঠে যায়, নখে হলে দ্রুত নখের রঙ বদলায় এবং শুকিয়ে খণ্ড খণ্ড ভেঙ্গে যেতে পারে।

বিস্তারঃ
এটি সংক্রামক রোগ। অতি সহজেই রোগী থেকে সুস্থ দেহে বিস্তার লাভ করতে পারে। রোগীর চিরুনি, তোয়ালে, বিছানা ইত্যাদি ব্যবহার করলে এ রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভবনা থাকে। তবে রোগাক্রান্ত পোষা বিড়ালের মাধ্যমে এটি বেশি ছড়ায়।

দাদের হেমিওপ্যাথিক চিকিৎসা:
লক্ষণ বিবেচনায় নিচের ওষুধ সমুহ হতে সঠিক ওষুধ নির্বাচন করা সম্ভব হলে দাদের মতো কঠিন রোগও আরোগ্য হয়।

ব্যাসিলিনাম, ব্যারাইটা কার্ব, ক্যালকেরিয়া কার্ব, নেট্রাম কার্ব, নেট্রাম মিউর, টেলুরিয়াম, গ্রাফাইটিস, পেট্রোলিয়াম, সিপিয়া, মেজেরিয়াম, আর্সেনিক এলবম।

হোমিওপ্যাথিক একটি লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা। রোগের ধরন স্হান, রোগীর মানসিক অবস্হা বিবেচনায় সঠিক ওষুধ নির্বাচন করলে দ্রুত আরোগ্য হয়। কেহ একা একা ওষুধ কিনে খাবেন না। বাজার হতে কোনো প্রকার মলম কিনে ব্যবহার করবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। রোগ চাপা পরে অন্য রোগ দেখা দিতে পারে। এমনকি মৃত্যুরও কারণ হতে পারে এটি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/টিআই)