স্তন ক্যান্সারের ভয় দেখিয়ে নারী ধর্ষণ!

স্তন ক্যান্সারের ভয় দেখিয়ে নারী ধর্ষণ!

অনলাইন ডেস্ক

শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের দায়ে দোষী প্রমাণিত হলেন লন্ডনের ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক মনীশ শাহ। ক্যান্সারের ভয় দেখিয়ে তিনি নারীদের স্তন ও গোপনাঙ্গ পরীক্ষা করতেন। তার পরেই শুরু করতেন তাদের শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ।

লন্ডনের ওল্ড বেইলি কোর্টে মামলার শুনানিতে জানা যায়, চিকিৎসক মনীশ শাহ তার চেম্বারে আসার পরে রোগীদের সাথে শুরুতে হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির গল্প করতেন।

তিনি তার রোগীদের জানাতে কিভাবে স্তন প্রতিস্থাপন করে ক্যান্সারের বিপদ কাটিয়ে আবারও সুন্দরী হয়ে উঠতে পেরেছিলেন হলিউড অভিনেত্রী। তার পর তিনি জানতে চাইতেন, ক্যান্সারের বিপদ দূর করতে সেসব নারীরাও স্তন পরীক্ষা করাতে চান কি না। রোগীরা যখন রাজি হতেন এরপর তিনি স্তন ও গোপনাঙ্গ পরীক্ষার নামে শুরু করতেন তাদের শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ। ৬ জন নারী এই অভিযোগ করেন ওল্ড বেইলি কোর্টে।
তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশি তদন্ত শুরু হওয়ার পরে ২০১৩ সাল থেকে আইনত তার চেম্বারে বসে রোগী দেখা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

আদালত মনীশের শাস্তি ঘোষণার দিন ধার্য করেছে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। প্রসিকিউটর কেট বেক্স আদালতে বলেছেন, ‘উনি এভাবেই ক্যান্সারের ভয় দেখিয়ে স্তন ও গোপনাঙ্গ পরীক্ষা করতেন তার রোগীদের। সেই প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও তিনি এমনটা করতেন। ’ প্রসিকিউটর বেক্স আদালতে জানিয়েছেন, ২০০৯ সালে মে থেকে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত পূর্ব লন্ডনের মওনে মেডিকেল সেন্টারে তার চেম্বারে একই ভাবে ৬ জন নারীর শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ করেছেন ৫০ বছর বয়সী এই চিকিৎসক মনীশ শাহ। এমনকি নির্যাতিতাদের মধ্যে রয়েছেন ১১ বছর বয়সী একটি মেয়েও।

আদালতে আরও বলা হয়, শুধু এই ছয়টি অভিযোগই নয়, মনীশের বিরুদ্ধে চিকিৎসার নামে একইভাবে করা এই একই অপরাধের জন্য আরও ১৭টি অভিযোগ রয়েছে দেশটির বিভিন্ন আদালতে।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/ডিএ