‘যৌন ব্যবসায়’ ‌‌নায়িকারা

‘যৌন ব্যবসায়’ ‌‌নায়িকারা

অনলাইন ডেস্ক

অভিনেত্রীদের যৌন ব্যবসায় জড়িয়ে যাওয়া নতুন কিছু নয়। আর ভারতীয় বিনোদন জগতে তো কথায় নেই। অবৈধ যৌন ব্যবসা চালানোর দায়ে কিছু দিন আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন দক্ষিণী ছবির উঠতি অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদ।  

অভিযোগ, মোটা টাকার বিনিময়ে দেহ ব্যবসা চালাতেন এই নায়িকা।

হায়দরাবাদের বানজারা হিলসের এক অভিজাত হোটেলে ফাঁদ পেতে তাঁকে হাতেনাতে ধরেন গোয়েন্দারা।

কখনও প্রত্যক্ষ ভাবে, কখনও বা পরোক্ষ ভাবে দেহব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়া কয়েকজন পরিচিত ও জনপ্রিয় অভিনেত্রীর কথা প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার।

সঙ্গীতা বালন: তামিল বিনোদন দুনিয়ার জনপ্রিয় মুখ সঙ্গীতা বালন। ২০১৮-র জুন মাসে অভিযোগ ওঠে, তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি দিনের পর দিন মধুচক্র চালিয়ে এসেছেন।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায় চেন্নাইয়ের পানায়ুড়ের একটি রিসোর্টে। অন্য রাজ্য থেকে আসা বেশ কয়েকজন যৌনকর্মীকে উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে তুলকালাম হয়।

পুলিশের দাবি, এই রিসোর্টে অসামাজিক ব্যবসা চালাতেন সঙ্গীতা।

অভিযোগ ওঠে, ছবিতে অভিনয়ের টোপ দিয়ে দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের এই চক্রে আনা হত।

শার্লিন চোপড়া: কয়েক বছর আগে অভিনেত্রী শার্লিন চোপড়ার নামে অভিযোগ উঠেছিল মধুচক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার। বিষয়টি নিয়ে বিশেষ জলঘোলা হওয়ার আগেই মধুচক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন তিনি।

শার্লিন বলেছেন, সিনেমার ডাক না এলে টাকা-পয়সা কোথা থেকে আসবে? আর এই পয়সার কারণেই আমাকে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে বেডরুম অবধি ছুটতে হত।

শ্বেতা বসু: শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদের নামেও উঠেছিল মধুচক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের গোড়ায় হায়দরাবাদের একটি হোটেল থেকে যৌন ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে শ্বেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আরশি খান: অভিনেত্রী আরশি খানের বিরুদ্ধেও ভারতে যৌন ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু এই অভিযোগ তিনি বরাবর অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, জীবনে কোনওদিনই মধুচক্রে জড়িত ছিলেন না। তাকে হেনস্থা করা হয়েছিল।

মিষ্টি মুখোপাধ্যায়: 'লাইফ কি তো লাগ গয়ি'। ছবির বাঙালি নায়িকা মিষ্টি মুখোপাধ্যায়ের নামও ইদানীং জড়িয়েছে যৌন ব্যবসায়। পুলিশি হানায় তাঁকে দিল্লির এক ফ্যাশন ডিজাইনার রাকেশ কাটোরিয়ার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়। ওশিওয়ারায় তাঁর বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে মিলেছে এক লাখ অশ্লীল ছবির সিডি ও ডিভিডি।

জানা গেছে, এই অভিনেত্রীর গোটা পরিবারই যৌন ব্যবসায় লিপ্ত। এই কারণে পুলিশ মিষ্টির দাদা ও বাবাকেও গ্রেপ্তার করে। মিষ্টির প্রতিবেশীদের মধ্যে রয়েছেন অন্তত ৭০ জন আইএএস ও আইপিএস অফিসার। কিন্তু তাঁদের নাকের ডগায় বসে দিব্যি দিনের পর দিন মধুচক্র চালিয়ে গিয়েছে মুখোপাধ্যায় পরিবার।

যমুনা: যৌন ব্যবসায় নাম জড়িয়েছে দক্ষিণের আরেক জনপ্রিয় নায়িকা যমুনার। ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে বেঙ্গালুরুর এক অভিজাত হোটেলে মধুচক্র চালানোর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যমুনার গ্রাহকরা সকলেই হাই প্রোফাইল ব্যক্তিত্ব। মোটা টাকার বিনিময়ে ফাইভ স্টার হোটেলে নায়িকা ও তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে শরীরী খেলায় মাততেন তাঁরা। যমুনার সঙ্গেই গ্রেপ্তার করা হয় আরও আটজন নারীকে। এ নিয়ে কম কথা হয়নি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর