‘দ্যাটস অল রাবিশ.. রাবিশ..জাস্ট রাবিশ’

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। -ফাইল ছবি

সিপিডি'র বক্তব্যে অর্থমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া

‘দ্যাটস অল রাবিশ.. রাবিশ..জাস্ট রাবিশ’

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

'২০১৭ সাল দেশের অর্থনীতির জন্য দুর্বল বছর' বলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) যে মতামত জানিয়েছে তাকে 'জাস্ট রাবিশ' বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

শনিবার এক অনুষ্ঠানে ২০১৭ সাল দেশের অর্থনীতির জন্য দুর্বল বছর আখ্যা দেন সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

রবিবার সকালে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) এক প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিপিডি পর্যালোচনা নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দ্যাটস অল রাবিশ.. রাবিশ..জাস্ট রাবিশ’।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আরও বলেন, সিপিডি বাংলাদেশকে নিচে নামাতে ব্যস্ত।

হয়তো আগামী বাজেটই আমার শেষ বাজেট। আগামী অর্থবছরে ভ্যাটের হার আলাদা হবে। ২০২৪ সালে দেশে কোন দরিদ্র মানুষ থাকবে না।

শনিবার দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য বলেন, বিদায়ী ২০১৭ সাল এক ধরনের প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল।

সেই প্রতিশ্রুতি সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। দেশের ভিতর তেমন কর্মসংস্থান হচ্ছে না। প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের যে পরিমাণ গরিব মানুষকে উপরের দিকে তোলার কথা, সেই পরিমাণ পারছে না। রেমিটেন্স কম আসা গ্রামীণ অর্থনীতিকে প্রভাবিত করছে। কারণ, রেমিটেন্সের টাকায় গ্রামের মানুষ অনেক ভোগ অর্থায়ন করে থাকে। খাদ্যপণ্য মূল্য বেড়েছে। সার্বিকভাবে সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বছরের শেষে এসে দুর্বল হয়ে গেছে। সিপিডির এই বিশেষ ফেলো বলেন, অর্থনৈতিক সংস্কারের বিষয়গুলো আদৌ সামনের দিকে এগোয়নি। উপরন্তু এটা পেছনের দিকে হেঁটেছে। এর উদাহরণ হলো— ব্যাংকিং খাত। ২০১৭ সাল ব্যাংক কেলেঙ্কারির বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। ব্যক্তির কাছে ঋণের টাকা কেন্দ্রীভূত হয়েছে। ব্যক্তিখাতের ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাচারের ঘটনাও ঘটছে। এগুলোর ক্ষেত্রে কোনো প্রতিষেধকমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে সরকার ব্যাংকিং কোম্পানি আইনকে সংশোধন করে পরিবারের নিয়ন্ত্রণ বাড়াল।

সম্পর্কিত খবর