র‌্যাবের হাতে আটক, পুলিশের সঙ্গে ‌‌‘বন্দুকযুদ্ধ’, নিহত ২

র‌্যাবের হাতে আটক, পুলিশের সঙ্গে ‌‌‘বন্দুকযুদ্ধ’, নিহত ২

অনলাইন ডেস্ক

টেকনাফে র‌্যাবের হাতে আটকের পর পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা মাদক কারবারি দাবি করে পুলিশ জানিয়েছে, এসময় ৫ পুলিশ সদস্য আহত ও বিপুল পরিমাণ ইয়াবা-অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার ভোরে হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালীর পাহাড়ি এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- নয়াবাজার এলাকার দিল মোহাম্মদের ছেলে মো. আমিন প্রকাশ নূর হাফেজ (৩২) ও তার সহযোগী সব্বির আহমদের ছেলে মো. সোহেল (২৭)।

মাদক কারবারিদের গুলিতে আহতরা হলেন- পুলিশের এসআই কামরুজ্জামান, এএসআই সনজিব দত্ত, মিশকাত উদ্দিন, কনস্টেবল সিকান্দর আলী ও মহিউদ্দিন আহত হয়।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সদস্যরা ৮ লাখ ইয়াবা ও অস্ত্রসহ ৪ মাদক কারবারীকে মামলা দিয়ে টেকনাফ থানায় সোপর্দ করে।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মশিউর রহমানের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা আরও ইয়াবা ও তাদের সহযোগীদের আটকে থানা-পুলিশের একটি দল রঙ্গিখালী গাজী পাহাড় এলাকায় অভিযানে যায়।

এসময় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সহযোগীরা পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণ করে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়।


পুলিশও আত্মরক্ষার্থে বেশ কয়েক রাউন্ড পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে কিছুক্ষণ পর হামলাকারীরা পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়।
এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ৯৫ হাজার পিস ইয়াবা, ৬টি দেশীয় তৈরি এলজি, ১৮ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ১৩ রাউন্ড খালী খোসাসহ গুলিবিদ্ধ নূর হাফেজ এবং সোহেলকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

সেখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

নিহতদের মৃতদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

নুর হাফেজের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদক আইনে ১৪ টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)