তিনজনের হাতে ধর্ষিত ছাত্রীর সন্তান প্রসব, বাবা কে?

তিনজনের হাতে ধর্ষিত ছাত্রীর সন্তান প্রসব, বাবা কে?

অনলাইন ডেস্ক

প্রধান শিক্ষকসহ তিনজনের দ্বারা ধর্ষিত হয়ে অন্তঃসত্ত্বা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে। তার শরীরে জ্বরসহ নানা সমস্যার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসক।  

শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় ওই শিশু।  

অপারেশনে অংশগ্রহণকারী হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক ডা. বি সি বিশ্বাস বিধান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, নবজাতক ওই শিশু এবং তার মা দুই জনই ঝুঁকিতে রয়েছে। নবজাতক শিশুটিকে নবজাতকের বিশেষ পরিচর্যা কেন্দ্রে (স্ক্যানু) রাখা হয়েছে। নবজাতকের শরীরের ওজন কম নানা সমস্যা রয়েছে।

অপরদিকে তার মাকে অপারেশন পরবর্তী পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।

তার শরীরে জ্বরসহ নানা সমস্যার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসক।  

এদিকে, তিনজনের দ্বারা ধর্ষিত হয়ে অন্তঃসত্ত্বা শিশুটি একটি কন্যা সন্তান প্রসব করলেও তার পিতৃপরিচয় এখনও অজানা। শিশুটির স্বজনরা ওই নবজাতকের পিতৃপরিচয় উদঘাটন এবং ধর্ষণের অভিযুক্তদের কঠোর বিচার দাবি করেন। এর আগে, সকাল ১১টার দিকে বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান ওই প্রসূতি শিশুর সাথে দেখা করে তার চিকিৎসার সাবিক খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসা সহায়তার জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা অনুদান দেন।

এ সময় শিশুটিকে ধর্ষণে অভিযুক্ত সকলকে আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। একই সাথে ভোজমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

শিশুটির কন্যা সন্তান প্রসবের খবরে বিকেল ৩টায় হাসপাতাল পরিদর্শনে যান জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম। এ সময় তিনিও নবজাতকের পিতৃপরিচয় উদঘাটনে অভিযুক্তদের ডিএনএ পরীক্ষা করারসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।  

অপরদিকে, ওই শিশু ও তার নবজাতকের চিকিৎসা সহায়তায় হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন দুপুরে ১০হাজার টাকা প্রদান করেন এবং সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহও ৫০ হাজার টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।  

উল্লেখ্য, বরিশালের বাকেরগঞ্জে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকসহ তিনজনের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়। পরে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় গত ১০ ডিসেম্বর তাকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে মামলা হলেও স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে প্রকৃত দোষীদের আসামি করা যায়নি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর