দেশের মানুষের কাছে শহীদ জিয়া একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সেনাপ্রধান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে জড়িয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।
জনগণের মাঝে শহীদ জিয়ার জনপ্রিয়তা অত্যন্ত উঁচুমানের। তার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে কোনো লাভ হবে না বলেও মনে করেন তিনি।
রোববার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে বাড্ডার সুবাস্তু নজরভ্যালী টাওয়ারের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি একথা বলেন।গতকাল শনিবার এক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার অভিযোগ পূর্ণব্যক্ত করে বলেন, খন্দকার মোস্তাকের সবচেয়ে বিশ্বস্ত লোক ছিলেন জিয়া। যদি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়া জড়িত না-ই থাকবেন, তবে খন্দকার মোস্তাক তাকে কেন সেনাপ্রধান বানিয়েছিলেন?
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের উত্তরে রিজভী বলেন, মুজিব হত্যার সমর্থনকারী বহু নেতাই আপনার নেতৃত্বে এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন। জিয়াউর রহমান সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত না হয়ে আজকে আপনি নিজের ঘরের দিকে তাকান।
জিয়ার সমালোচনাকারীরা বিনা ভোটের সরকার মন্তব্য করে রিজভী বলেন, শহীদ জিয়া কারও বদান্যতায় সেনাবাহিনীর প্রধান হননি। তিনি নিজের যোগ্যতা বলেই সেনাবাহিনীর প্রধান হয়েছিলেন। আজকে তার সমালোচনা করে যারা কথা বলেন তারা গণতন্ত্রের শত্রু এবং ফ্যাসিস্ট ও অবৈধ।
দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা ও সম্পাদককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রিজভী।
তিনি বলেন, আজকে দেশে গণতন্ত্র নেই। গণমাধ্যমের মতপ্রকাশ ও মানুষের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কারো সাথে কারো মতের মিল না থাকতে পারে। রাজনীতিতে ভিন্ন ভিন্ন মত থাকবে এটা স্বাভাবিক। তাই বলে দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার কার্যালয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা ফ্যাসিবাদী শাসনের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে হয়।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)