লালমনিরহাটের মামলায় জামিন পেলেন বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক

লালমনিরহাটের মামলায় জামিন পেলেন বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

লালমনিরহাটে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ গঠনের আগ পর্যন্ত জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম ও প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী।

আজ সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এদিন, আদালতে বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক ও প্রকাশকের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি করেন তাদের আইনজীবী ড. মমতাজ উদ্দিন মেহেদি।

এর আগে, মামলার বাদী পরপর সাত কার্যদিবস আদালতে উপস্থিত না থাকলেও বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম ও প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন লালমনিরহাটের একটি আদালত।

নিয়ম অনুযায়ী, আদালতে দাখিল করা যে কোনো মামলায় পরপর তিন কার্যদিবস বাদী আদালতে অনুপস্থিত থাকলেই মামলা খারিজ হয়ে যায়। লালমনিরহাটের ৪ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মো. আফাজ উদ্দিন ২ জানুয়ারি এই পরোয়ানা জারি করেন।

এরপর দেশে-বিদেশে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন ২০১৪ সালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক, প্রকাশকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এই মানহানির মামলা করেন।

মামলার অন্য আসামি বাংলাদেশ প্রতিদিনের লালমনিরহাট প্রতিনিধি রেজাউল করিম মানিক।  

বাদী আদালতে উপস্থিত না থাকার পরও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার বিষয়ে ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ ও আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আদালতে করা মামলার ক্ষেত্রে কোনো আইনসংগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা ছাড়া যদি বাদী একাধিক ধার্য তারিখে অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে মামলাটি খারিজ হবে। এই বিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে মামলার কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হলে তা হবে আইনের পরিপন্থী। বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিরুদ্ধে করা এই মামলার ক্ষেত্রে বাদী যেহেতু একাধিকবার অনুপস্থিত ছিলেন, সে কারণে মামলাটি খারিজ না করে আইন পরিপন্থীভাবে মামলাটিকে চলমান রাখা হয়েছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে পারে না। ’ 

২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পৃষ্ঠায় ‘সাবেকদের আমলনামা : রেশন ডিলার সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহারের শত কোটি টাকা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের জেরে এ মামলাটি করেন মোতাহার হোসেন। প্রতিবেদন প্রকাশের ৪০ দিন পর মামলাটি করা হয়েছিল।

সম্পর্কিত খবর