২০০৭ সালে অবৈধভাবে সংবিধান স্থগিত করে জরুরি অবস্থা জারি করায় রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত।
ছয় বছর ধরে ঝুলে থাকার পর গতকাল পেশোয়ার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার আহমাদ শেঠের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারকের বিশেষ আদালত এ রায় দেন।
এদিকে পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ডের এ রায়কে মেনে নিতে পারছে না দেশটির সেনাবাহিনী।
এ রায়ের বিপক্ষে সামরিক বাহিনীর অবস্থান তুলে ধরেন পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, একজন সাবেক সেনাপ্রধান, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানদের কমিটির চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, যিনি ৪০ বছর দেশের সেবা করেছেন, দেশের হয়ে যুদ্ধে লড়েছেন, তিনি কোনোভাবেই দেশদ্রোহী হতে পারেন না।
‘পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী প্রত্যাশা করে যে, ইসলামিক প্রজাতন্ত্রী পাকিস্তানের সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ন্যায়বিচার করা হবে। ’
পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়ার পরই সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা জরুরি বৈঠকে বসে এই বিবৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এদিকে দেশটির সেনা সমর্থিত সরকারের জন্য সামরিক বাহিনীর এমন বিবৃতিকে হুমকি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
১৯৯৯ সালে এক সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখলের পর প্রায় এক দশক দেশ শাসন করা পারভেজ মোশাররফ এখন আছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
সেখান থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগকে তিনি ‘ভিত্তিহীন’ বলেছেন।
পারভেজ মোশাররফ বলেছেন, ‘আমি দশ বছর দেশের (প্রেসিডেন্টের) দায়িত্ব পালন করেছি। দেশের জন্য লড়াই করেছি। এই মামলায় আমার বক্তব্য শোনা হয়নি, অথচ আমাকে দোষী বানানো হয়েছে। ’
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)