কুড়িগ্রামে বুধবার সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। তীব্র ঠান্ডার সাথে হিমেল বাতাশের কারণে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সকাল ৯ টা পর্যন্ত কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
কুয়াশায় আচ্ছন্ন জেয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ।
জেলার চরাঞ্চলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানকার অধিবাসীরা শীতের প্রকোপে আগুন জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারনের চেষ্টা করছেন। নদ-নদীর অববাহিকায় ঘন কুয়াশা সহ শীতের তীব্রতা বেশি অনুভুত হচ্ছে।
এদিকে শীতের কারণে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে শিশুরা অত্যধিক ঠান্ডার কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশী। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২৭ জন শিশুসহ ৩১ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৬ জন ডায়রিয়া ও ৩ জন নিউমোনিয়া রোগ ভর্তি হয়েছে। রোগীর সংখ্যা বেশী হওয়ায় মেঝেতে স্থান নিতে বাধ্য হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেনারে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. জাকিরুল ইসলাম জানান, শীতজনিত রোগের প্রকোপ ব্যাপক আকারে দেখা দেয়নি। ডায়রিয়া ও নিমউ মেআনিয়াসহ শীতজনিত রোগের সৃুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, দু’একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেয়ে জেলায় শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ২৪/২৫ ডিসেম্বর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল
