গোসলে অনীহা স্ত্রীর, তালাক চাইলেন স্বামী!

প্রতীকী ছবি

গোসলে অনীহা স্ত্রীর, তালাক চাইলেন স্বামী!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

প্রেম আর সংসারজীবন এক নয়। প্রেম করার সময় জীবন বাজি রেখে গভীর সাগর থেকে মুক্তা তুলে এনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি সহজেই দিয়ে দেন প্রেমিক। আবার প্রেমিকাও মুখের কথায় নিজের কলিজাটা টুকরো টুকরো করে কেটে প্রেমিকের হাতে তুলে দিতেও কার্পণ্য করেন না। কিন্তু, বিয়ের পর এসব প্রতিশ্রুতি যে শুধুমাত্র খোঁটা দেওয়ার উপকরণ হয়ে দাঁড়ায় তা ভুরি ভুরি নাটক-সিনেমাতেই দেখা যায়।

প্রেম আর বিয়ে যে এক নয় তা এবার হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন তাইওয়ানের এক দম্পতি। প্রেম করে বিয়ে করে এখন ভাঙনের পথে সেই ঘর।

জানা গেছে, স্ত্রীর শত গুণ থাকতেও বিচ্ছেদ চাইছেন স্বামী। তাও কেবলমাত্র একটি বদভ্যাসের জন্য।

কিছুতেই গোসল করতে চান না স্ত্রী। আর এ কারণেই স্ত্রীর সাথে এক ছাদের তলায় থাকতে চান না ওই যুবক।

অদ্ভুত এই ঘটনা উঠে এসেছে তাইপেই টাইমস নামক এক সংবাদমাধ্যমে। সেখানে যুবক জানিয়েছেন, প্রেম করেই বিয়ে করেছিলেন তিনি। তখন প্রেমিকার স্বভাব এতটা খারাপ ছিল না। সপ্তাহে একবার গোসল তিনি করেই নিতেন।  

বিয়ের প্রথম প্রথমও সব ঠিক ছিল। কিন্তু সময় গড়াতেই বিষয়টি খুবই অস্বস্তিকর পর্যায় যেতে থাকে। স্ত্রী নাকি এখন বছরে একবার গোসল করতে চান না। মাথায় পানি পর্যন্ত দেন না। আর প্রতিদিন দাঁত পর্যন্ত মাজেন না। এমন স্ত্রীর কাছে যেতেই গা ঘিনঘিন করে।  

আরও অভিযোগ রয়েছে ওই যুবকের। বিয়ের পরই নাকি তাকে শ্বশুরবাড়িতে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকী ওই নারী তাকে কোনও কাজও করতে দিতেন না। অগত্যা শাশুড়ির দেওয়া হাত খরচ নিয়েই জীবন চালাতে হতো তাকে।  

২০১৫ সালে অনেক কষ্টে নিজের জন্য একটি কাজ জোগাড় করেন ওই যুবক। স্ত্রীকে লুকিয়ে বেশ কিছুদিন কাজটি করতে থাকেন তিনি। কিন্তু স্ত্রী খবর পেয়েই যান। আর স্বামীকে কাজ ছাড়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু যুবক কাজ ছাড়তে রাজি নন। কাজ না ছেড়ে উল্টো এমন স্ত্রীর কাছ থেকে মুক্তি চান তিনি। সে কারণেই বিচ্ছেদের মামলা করেছেন।  

অন্যদিকে, যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যুবকের স্ত্রী। তার দাবি, স্বামীকে নিজের ছেলের মতোই দেখতেন তার বাবা-মা।

সম্পর্কিত খবর