‘এই তালিকা জিয়া-এরশাদ-খালেদা ব্যবহার করেছেন’

‘এই তালিকা জিয়া-এরশাদ-খালেদা ব্যবহার করেছেন’

অনলাইন ডেস্ক

রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম থাকা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার খেতাব দেওয়া হবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন সরকার প্রধান।

তিনি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় তালিকা গোলমাল করে ফেলেছে, তবে কীভাবে এমন ভুল হলো তা রহস্যজনক। কোন মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার খেতাব দেওয়া হবে না।

একই সঙ্গে তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সংযুক্ত হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি।  

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের চলতি কমিটির শেষ কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম যখন রাজাকারের তালিকায় থাকে তখন কতোটা খারাপ লাগতে পারে একবার চিন্তা করে দেখুন? আমি মুক্তিযোদ্ধাদের এতোটুকু বলতে পারি তাদের নাম কোনো ভাবেই রাজাকারের তালিকায় থাকতে পারে না। এ বিষয়ে আপনারা নিশ্চিত থাকুন।

ইতোমধ্যে এটি নিয়ে কথা হয়েছে। মন্ত্রণালয় প্রকাশিত তালিকা যাচাই-বাছাই করে দেখবে।

‘রাজাকার-আলকদর-আলসামস এগুলো কিন্তু গেজেটেড। ১৯৭১ সালের পত্রিকা যদি আপনারা দেখেন, সেখানে দেখবেন এগুলো ছাপা আছে। ’

সরকার প্রধান বলেন, এটা মোটেও রাজাকারের তালিকা না। এখানে কিছু সম্মিলিত তালিকা রয়েছে। এখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছে। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কেও বলেছি এভাবে সমস্ত ফাইল তুলে দেওয়া ঠিক হয়নি। খুব একটা খারাপ কাজ হয়ে গেছে। তালিকায় অনেক মুক্তিযোদ্ধার নাম ঢুকে গেছে।

‘পাকিস্তান আমলে করা তালিকা এবং পরে করা তালিকা নিয়ে একটা গোলমাল সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তানের ওই তালিকা ১৫ই আগস্টের পর জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া ব্যবহার করেছেন। এটা হয়তো অনেকে জানেন না। ’

পাকিস্তান আমলে করা ওই তালিকা পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এগুলো বের করে ধংস করার নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু কোন কারণে হয়তো হয়নি। ওই সময় যারাই মুক্তিযুদ্ধে গেছেন সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে ১৫ আগস্টের পর মামলা দেওয়া হয়েছিল। এরকম ঘটনা এখনও রয়েছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর